শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ০২:০৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :

নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় নিহতের পরিবার পাবে ৪০ লাখ টাকা

ভিশন বাংলা ২৪ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১১ এপ্রিল, ২০১৮
  • ৪৩৯

নিজস্ব প্রতিবেদক: নেপালের কাঠমান্ডু ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলা বিমান দুর্ঘটনায় নিহতের পরিবার কমপক্ষে ৫০ হাজার মার্কিন ডলার (৪০ লাখ টাকা) করে পাবে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী এ কে এম শাহাজাহান কামাল।

নেপালে বিমান দুর্ঘটনা পরবর্তী কার্যক্রম নিয়ে বুধবার সচিবালয়ে বিমানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন এ তথ্য জানান। একই তথ্য জানান ইউএস-বাংলা কর্তৃপক্ষও।

গত ১২ মার্চ নেপালের কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলার বিমান দুর্ঘটনায় ২৬ জন বাংলাদেশিসহ ৫০ জন নিহত হয়েছে ও ২০ জন আহত হয়েছেন।

বিমানমন্ত্রী বলেন, ‘বিদ্যমান ওয়ারসো কনভেনশন অনুযায়ী প্রতি নিহতের পরিবার আনুমানিক ৫০ হাজার মার্কিন ডলারের ক্ষতিপূরণ পাবেন। আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে এই অর্থ প্রদান করা হবে।’

ইউএস-বাংলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান আসিফ বলেন, ‘ইন্সুরেন্সের ক্ষতিপূরণ পাওয়ার ক্ষেত্রে আইনি প্রক্রিয়ার একটা ব্যাপার আছে। সবার নাম ঠিকানা আমরা জানি। ক্ষতিপূরণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিদ্যমান আইন অনুযায়ী সাকসেশন সার্টিফিকেট (উত্তরাধিকার সনদ) প্রয়োজন হবে। এই সার্টিফিকেট প্রমাণ করে যিনি নিহত হয়েছেন তার আইনগত উত্তরাধিকারী হচ্ছে অমুক ব্যক্তি।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের ইন্সুরেন্স কোম্পানি ইতোমধ্যে একজন আইনজীবীকে দায়িত্ব দিয়েছেন, তারা প্রত্যেক নিহত পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। এছাড়া এ বিষয়ে সবাইকে অবহিত করে খবরের কাগজে বিজ্ঞাপন দেয়া হয়েছে- কারও সঙ্গে যদি ইন্সুরেন্স কোম্পানির পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা না হয়ে থাকে তবে তারা যেন যোগাযোগ করেন।

‘সব পরিবারকে জানিয়ে দেয়া হচ্ছে-এই টাকা পেতে কী কী আনুষ্ঠানিকতা করতে হবে।’

ইমরান আসিফ বলেন, ‘ওয়ারসো কনভেনশন অনুযায়ী আমরা যতটা এসেসমেন্ট (পরিমাপ) করতে পেরেছি তা হলো প্রত্যেক নিহতের পরিবার ৫০ হাজার মার্কিন ডলারের কম পাবেন বলে আমরা মনে করি না, এর চেয়ে বেশিও পেতে পারেন।’

আহতরা ক্ষতিপূরণ পাবেন। তবে তারা আহত হওয়ার ধরন অনুযায়ী বিভিন্ন অঙ্কের ক্ষতিপূরণ পাবেন বলে জানান তিনি।

বীমার স্থানীয় প্রতিনিধি হচ্ছে সাধারণ বীমা ও সেনা কল্যাণ সংস্থা। রি-ইন্সুরেন্স কোম্পানি একটি বিদেশি প্রতিষ্ঠান বলে জানান ইউএস-বাংলার শীর্ষ কর্মকর্তা।

ইমরান আসিফ বলেন, ‘আমাদের এয়ারক্র্যাফ্টের ক্ষতিপূরণের টাকা এখন চাইলেই নিতে পারি, কিন্তু আমরা বলেছি যাত্রীদের ক্ষতিপূরণের টাকা না দেয়া পর্যন্ত আমরা এয়ারক্র্যাফ্টের টাকা নেবো না।’

‘সবাইকে একই সময়ের মধ্যে টাকা দেয়া যাবে, এটা বলা যাচ্ছে না। কারণ প্রত্যেকটি কেইস আলাদাভাবে হ্যান্ডেল করতে হচ্ছে। যারা মারা গেছেন তাদের পরিবার যখনই সাকসেশস সার্টিফিকেটের ব্যাপারটা সম্পন্ন করে আসবেন, ঠিক তখনই ইন্সুরেন্স কোম্পানি টাকা দিয়ে দেবে। সেখানে ইউএস-বাংলার মাঝখান দিয়ে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ বা ম্যানিপুলেশন করার কোনো সুযোগ নেই’বলে জানান ইউএস-বাংলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা।

বিমান মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সিভিল এভিয়েশন অথরিটিরির আইনজীবী আছে। আমি বলবো, তাদের (নিহতদের) অ্যাড্রেসগুলো দেন। আজকেই আমি নির্দেশ দিয়ে দেবো, তারা সাকসেশন সার্টিফিকেটের বিষয়ে কাজ করবে।’
এ সময় বিমান ও পর্যটন সচিব এসএম গোলাম ফারুক উপস্থিত ছিলেন।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2011-2025 VisionBangla24.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com