শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২৯ পূর্বাহ্ন
ভিশন বাংলা ডেস্ক : সবাই বয়স লুকাতে চায়। তাই ত্বকের বয়স ধরে রাখতে মানুষ কত কী-না করছে। দীর্ঘদিন ত্বকের সৌন্দর্য ধরে রাখতে অনেকে সার্জারির কথাও ভাবছে। কিন্তু আমাদের দৈনন্দিন খুঁটিনাটি ভালো কিছু অভ্যাসও পারে দীর্ঘদিন ত্বকের জন্য মঙ্গলবার্তা বয়ে আনতে। থাকছে ছোট ছোট কিছু টিপস-
চিৎ হয়ে ঘুমান
ত্বককে সতেজ বা তরুণ রাখতে চাইলে চিৎ হয়ে ঘুমান। একপাশ বা উপুড় হয়ে ঘুমালে গালের যে অংশ বালিশের ওপর থাকে, সে অংশে দ্রুত ভাঁজ বা বলিরেখা পড়ে। বলিরেখা এড়াতে চিৎ হয়ে ঘুমানোর পরমর্শ দেন ত্বক বিশেষজ্ঞরা। এতে করে ত্বক দীর্ঘদিন তরুণ থাকবে।
জিমে বেশি সময় নয়
জিমে ট্রেডমিলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় কাটালে শারীরিক গঠন ভালো হবে, কিন্তু এতে করে আপনার চেহারায় তারুণ্য ফুটে উঠবে এ ধারণা ভুল। দেখা গেছে যারা অনেক বেশি শারীরিক কসরত করেন, তাদের অন্যদের তুলনায় বেশি বয়স্ক মনে হয়। কারণ খুব বেশি ব্যায়াম করলে ত্বকের নিচে চর্বি একেবারেই কমে যায়, যা মুখে কাঠিন্য ভাব নিয়ে আসে।
গাড়িতে থাকাকালে সূর্যরশ্মি এড়িয়ে চলুন
বেশির ভাগ মানুষের রোদে ত্বক পুড়ে যায়, যখন তারা গাড়িতে থাকে। বিশেষ করে জানালার পাশে বসলে বা নিজে গাড়ি ড্রাইভ করলে গাড়ির কাচ ভেদ করে আসা সূর্যরশ্মি ত্বকের ক্ষতি করে। এজন্য গরমের দিনে ফুলস্লিভ জামাকাপড় পরে বাইরে বের হওয়া উচিত। গাড়িতে বসে থাকাকালীন এমনভাবে স্কার্ফ জড়িয়ে নিন, যাতে গাল ও ত্বকের কোনো অংশ সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
ঘন ঘন প্রসাধনী পরিবর্তন নয়
ত্বকে ব্যবহৃত পণ্যগুলো অনেকেই শখে কেনেন। লোশন, ক্রিম, সিরাম এগুলো অতিদ্রুত পাল্টানো ত্বকের জন্য ভালো নয়। অ্যান্টি-এজিং ক্রিম ব্যবহার করলে অন্তত চার সপ্তাহ সময় দিতে হবে, যাতে ত্বক সেটার সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার সুযোগ পায়।
ভালো ব্র্যান্ডের প্রসাধনী
ত্বকের জন্য ভালোমানের ও ব্র্যান্ডের প্রসাধনী ও উপকরণ ব্যবহারের কোনো বিকল্প নেই। ত্বকের কোনো সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই বিশষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে ও সে অনুযায়ী ত্বকের জন্য পণ্য ব্যবহার করতে হবে।
সর্বোপরি শান্ত ও হাসিখুশি থাকুন
অতিরিক্ত রাগ, দুশ্চিন্তা, ক্ষোভ, ভীতি ত্বকের ওপর ভয়াবহ প্রভাব ফেলে। এতে করে ত্বকে বলিরেখা পড়তে পারে। চোখের নিচে কালির ও ত্বক কুঁচকে যাওয়ার অন্যতম কারণ স্ট্রেস। সবসময় চেষ্টা করুন ফুরফুরে মেজাজে থাকতে। কারণ মানসিক প্রশান্তিই সুন্দর ত্বক ও স্বাস্থ্যের অন্যতম মূলমন্ত্র।