মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:২৫ পূর্বাহ্ন
ভিশন বাংলা ডেস্ক: আসামের পর এবার ওড়িশা। আসামে নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) করে ৪০ লাখের বেশি ‘অবৈধ অভিবাসীকে’ অনুপ্রবেশকারী দেখানো হয়েছে। এর মধ্যে বেশির ভাগই বাংলাভাষী মুসলিম। বলা হচ্ছে, তারা ‘অবৈধ বাংলাদেশী’। তাদেরকে বের করে দেয়া হবে। কিন্তু এবার বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে ওড়িশাতে একই রকম উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। সেখানে আগামী বছর নির্বাচন হওয়ার কথা। এরই মধ্যে কেন্দ্রাপাড়া জেলা প্রশাসন সেখানকার ভোটার তালিকা থেকে ‘অবৈধ বাংলাদেশী’ অভিবাসীদের নাম বাদ দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
তবে তাদেরকে বের করে দেয়া হবে কিনা তা নিশ্চিত করে বলা হয় নি। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ডিএনএ।
রোববার কর্মকর্তারা বলেছেন, নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকা পর্যালোচনা করছে। আর এরই মধ্যে তাতে থাকা সন্দেহজনক বাংলাদেশীদের নাম বাদ দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ওই রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে, ভারতের উপকূলীয় এই কেন্দ্রাপাড়া জেলায় বসবাস করেন ১৬৪৯ জন বাংলাদেশী। শুধু মহাকালপাড়ায়ই তাদের ১৫৫১টি বসতি আছে তাদের। এই মহাকালপাড়ায়ই এরই মধ্যে ১৩৭ জন বাংলাদেশীকে ভোটার তালিকায় সনাক্ত করা হয়েছে। তাদের জাতীয়তা যাচাই করে ভোটার তালিকা থেকে তাদেরকে বাদ দেয়া হয়েছে। তাদেরকে চিহ্নিত করা হয়েছে বিদেশী বলে। এ কথা জানিয়েছেন কেন্দ্রাপাড়া জেলা কালেক্টর দশরথী সাতপাথি। তিনি জানিয়েছেন ভোটার তালিকা যাচাইকরণের এই কাজ চলবে ২৭ শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। ভোটার তালিকা যাচাইয়ের কাজে যেসব কর্মকর্তা নিয়োজিত আছেন তাদেরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে যাতে এসব বিদেশীরা চূড়ান্ত তালিকায় ঠাঁই না পায়।
ওই রিপোর্টে আরো বলা হয়, ওড়িশা রাজ্যে বসবাস করেন ৩৯৮৭ জন ‘অবৈধ বাংলাদেশী’। এর মধ্যে ১৬৪৯ জন বসবাস করেন উপকূলীয় জেলা কেন্দ্রাপাড়ায়। আর ১১১২ জন বসবাস করেন প্যারাদ্বীপ ও জগতসিংহপুরে। কেন্দ্রাপাড়ার মহাকালপাড়ায় বসবাসকারী ৩৬২ টি পরিবারকে ২০০৫ সালে দেশ থেকে বের করে দেয়ার নোটিশ দেয়া হয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপে তাদেরকে আর বের করে দেয়া হয় নি।