মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৫৩ পূর্বাহ্ন
ভিশন বাংলাঃ দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ এনে বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, মহাসচিব মেজর (অব.) মান্নান ও যুগ্ম মহাসচিব মাহী বি চৌধুরীকে অব্যাহতি দিয়েছে বিকল্পধারা বাংলাদেশ।বিকল্পধারা বাংলাদেশের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নুরুল আলম ব্যাপারীকে সভাপতি ও দলের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট শাহ আহম্মেদ বাদলকে মহাসচিব করে দলটি নতুন কমিটি ঘোষণা করেছে।
আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে সাংবাদিকদের এ কথা জানান নুরুল আলম ও বাদল।নিজেদের বিকল্প ধারার ‘মূল ধারা’ হিসেবে দাবি করে তিনি শিগগিরই কামাল হোসেন নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যোগ দেওয়ার ঘোষণাও দেন।বিএনপিকে নিয়ে গঠিত কামালের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যোগ না দেওয়ার পর তার বিরোধিতা করেছিলেন বিকল্প ধারার নেতা বাদল।জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনের দিনই দলের সহসভাপতি বাদলসহ কয়েকজনকে বহিষ্কার করেন বিকল্প ধারা সভাপতি বি চৌধুরী।বাদল বলেন, ‘আজকে আমাদের জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন ছিল। এসে দেখি তা বাতিল করা হয়েছে। কার ইশারায় আমাদের নির্ধারিত সংবাদ সম্মেলন বাতিল করা হলো, তা আমরা জানি না। আমরা গঠনতন্ত্রের ৫/২ ধারা অনুযায়ী দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে জনাব এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী (সভাপতি), আবদুল মান্নান (মহাসচিব) ও মাহি বি চৌধুরীকে (যুগ্ম মহাসচিব) দল থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’তিনি বলেন, ‘আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, আমরাই বিকল্প ধারার মূল ধারা।’তিনি জানান, তারা বিকল্প ধারার সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অধ্যাপক নুরুল আমিন ব্যাপারীর নেতৃত্বে নতুন কমিটি গঠন করেছেন।অধ্যাপক নুরুল আলমকে পাশে রেখে বাদল বলেন, ‘মহাসচিব আমি সহসভাপতি শাহ আহমেদ বাদল। অন্যান্য পদে কয়েকদিন মধ্যে আমরা মনোনয়ন দেব।’শৃঙ্খলাভঙ্গ করে থাকলে বি চৌধুরীকে বহিষ্কার কেন করলেন না- প্রশ্ন করা হলে বাদল বলেন, ‘উনি শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি, সে জন্য তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।’পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা শিগগিরই জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে সম্পৃক্ত হব।’বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন মহাসচিব বি চৌধুরী খালেদা জিয়ার আমলে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব ছাড়তে বাধ্য হওয়ার পর প্রায় দেড় দশক আগে বিকল্প ধারা গঠন করেন। দলের মহাসচিব মান্নানও বিএনপির সংসদ সদস্য ছিলেন।একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে সম্প্রতি কামাল হোসেনের নেতৃত্বে নতুন জোট গঠনের প্রক্রিয়ায় ছিলেন বি চৌধুরী। কিন্তু বিএনপি তাতে যোগ দিতে চাইলে তাদের জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গ ছাড়ার শর্ত দেয় বিকল্প ধারা।বিএনপির স্পষ্ট বক্তব্য না আসার মধ্যে তাদের নিয়ে জোট গঠনে কামাল হোসেন এগিয়ে গেলে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে আর যোগ দেয়নি বি চৌধুরীর দল।