বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ০৯:২২ অপরাহ্ন

বাইক চালানোকে নারী স্বাধীনতা মনে করেন তিনি

বাইক চালানোকে নারী স্বাধীনতা মনে করেন তিনি

মাত্র ১৪ বছর বয়সে বাইক চালনা শিখেছিলেন এই নারী। সেই থেকে শুরু। এরপর এ যানটি ঘিরেই চলতে থাকে তার বিভিন্ন কার্যক্রম। ক্রমেই এটি চালনা তার প্যাশনে পরিণত হয়। তবে কখনো গিয়ারলেস স্কুটারের প্রতি আগ্রহ দেখাননি তিনি। হাইসিসি মোটরসাইকেল চালনাই তার প্যাশন। আর এ কাজেই তিনি স্বাধীনতা খুঁজে পান। সেই সঙ্গে এটিকে দেখেন নারী স্বাধীনতার প্রতীক হিসেবেও।

এই নারীর নাম জান্নাতুল নাঈম এভ্রিল। বর্তমানে ইয়ামাহা ব্র্যান্ড কোম্পানির অ্যাক্টিভিটি অ্যাম্বাসেডর হিসেবে কাজ করছেন তিনি। সামনের দিনে নারীদের সরাসরি হাইসিসি মোটরসাইকেল চালানোয় উদ্বুদ্ধ করতে কোম্পানির নানা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন তিনি।

জানা গেছে, চট্টগ্রামের জন্মগ্রহণকারী এভ্রিল ৫ ফুট ৮ ইঞ্চি উচ্চতার অধিকারী। মোটরসাইকেল নিয়ে বিভিন্ন নৈপুণ্য দেখাতে পারদর্শী তিনি। এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এভ্রিলের নৈপুণ্য প্রদর্শনী, বাইক চালানোর ছবি ও ভিডিও। ৯০ হাজার ফেসবুক অনুসারী রয়েছে তার।

এভ্রিল জানান, বাংলাদেশে মোটরসাইকেলের যাত্রা শুরুর কয়েক দশক হলেও এখনো গিয়ারলেস স্কুটারের প্রতি নারীদের আগ্রহ বেশি। তবে কেউ কেউ সেই প্রথা ভেঙে বেরিয়ে আসতে শুরু করেছেন।

এভ্রিল মনে করেন, মোটরসাইকেল চালানো কিংবা উচ্চতর প্রযুক্তি গ্রহণ করার মতো বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত তরুণী ও নারীরা। ভবিষ্যতে তিনি বাইক-সম্পর্কিত যেকোনো উদযাপন এবং উদ্যোগের সঙ্গে নিজেকে সংযুক্ত করতে চান। বাংলাদেশের তরুণ ও নারী বাইকারদের প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যে একটি বাইক প্রশিক্ষণ স্কুল পরিচালনা করারও ইচ্ছা রয়েছে তার।

তিনি বিশ্বের অন্যতম সেরা নারী বাইক স্টান্টার ক্রিস্টিনা লি বিলিংসের মতো হতে চান। ফ্রিস্টাইল স্টান্টার বিলিংস হার্লি ডেভিসনের ট্যাগে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বাইক নিয়ে বিচিত্র খেলা প্রদর্শন করেন। ভবিষ্যতে নিজের প্যাশনকে ঘিরেই এগিয়ে যেতে চান এভ্রিল। নিজের এই স্বপ্নই ছড়িয়ে দিতে চান তরুণ প্রজন্মের মধ্যে।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com