সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:০১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
দেশজুড়ে বিনিয়োগ: শিক্ষা বিস্তারে জেলা–উপজেলা প্রশাসনকে যুক্ত করছে বিএসইসি এস এম বখতিয়ার আলম ইসলামিক ফাইন্যান্সের নতুন চেয়ারম্যান শাহজালালে আগুনের ঘটনায় রপ্তানিকারকদের ৬ দাবি কুরআন প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামে হামলা; শিবিরের ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম জাতীয় বেতন কমিশনের মতবিনিময় সভা শিক্ষকদের সঙ্গে করণ জোহরের সিনেমায় অভিনয় করেননি জয়া আহসান তরুণদের বীমায় সম্পৃক্ত করতে আইডিআরএর গ্রাহক সেবা পক্ষ উদ্বোধন সোনার বাংলা ইনস্যুরেন্সের নতুন চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত প্রতীকের তালিকায় শাপলা না থাকায় দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না: ইসি গার্ডিয়ান লাইফ শতভাগ ক্যাশলেস; লেনদেন হবে ডিজিটাল মাধ্যমে

৭৫ লাখ টাকা পর্যন্ত গৃহঋণ পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা

ভিশন বাংলা ২৪ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ২৬ অক্টোবর, ২০১৮
  • ৩৬৬
ভিশন বাংলা ডেক্সঃ সরকারি ব্যবস্থাপনায় ব্যাংক থেকে পাঁচ শতাংশ সরল সুদে (সুদের ওপর সুদ নয়) সর্বোচ্চ ৭৫ লাখ টাকা পর্যন্ত গৃহনির্মাণ ঋণ পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা। রাষ্ট্রায়ত্ত চার বাণিজ্যিক ব্যাংক সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংক এবং বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স কর্পোরেশন (বিএইচবিএফসি) থেকে এই ঋণ দেয়া হবে।
সরকারি চাকরিজীবীরা সর্বোচ্চ ৫৬ বছর বয়স পর্যন্ত এই ঋণের সুযোগ পাবেন। ব্যক্তিগত বয়স ৫৬ পেরিয়ে গেলে তিনি আর এই ঋণ পাওযার যোগ্য হবেন না।
জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ফ্ল্যাট কেনা বা নিজস্ব জমিতে বাড়ি নির্মাণের জন্য কেউ নিজস্ব উদ্যোগে ১০ টাকা খরচ করলে তিনি সর্বোচ্চ ৯০ টাকা ঋণ পাবেন। এক্ষেত্রে রেশিও হবে ৯০:১০। সরকারি কর্মচারীদের গৃহ নির্মাণ ঋণের সুদের হার হবে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ। এটি হবে সরল সুদ এবং সুদের ওপর কোনও সুদ আদায় করা হবে না।
জাতীয় বেতন স্কেলে প্রথম থেকে পঞ্চম গ্রেডভুক্তরা ঢাকাসহ সব সিটি কর্পোরেশন ও বিভাগীয় সদরের (উপ-সচিব থেকে সচিব পদমর্যাদার) জন্য ৭৫ লাখ, জেলা সদরের জন্য ৬০ লাখ এবং অন্যান্য এলাকার জন্য ৫০ লাখ টাকা ঋণ নিতে পারবেন।
৬ষ্ঠ থেকে ৯ম গ্রেডভুক্তরা ঢাকাসহ বিভাগীয় সদর এলাকার জন্য ৬৫ লাখ, জেলা সদরের জন্য ৫৫ লাখ এবং অন্যান্য এলাকার জন্য ৪৫ লাখ টাকা ঋণ পাবেন। ১০ম থেকে ১৩তম গ্রেডভুক্তরা ঢাকাসহ বিভাগীয় সদরের জন্য ৫৫ লাখ, জেলা সদরের জন্য ৪০ লাখ এবং অন্যান্য এলাকার জন্য ৩০ লাখ টাকা ঋণ পাবেন।
১৪তম থেকে ১৭তম গ্রেডভুক্তরা ঢাকাসহ বিভাগীয় সদরের জন্য ৪০ লাখ, জেলা সদরের জন্য ৩০ লাখ এবং অন্যান্য এলাকার জন্য ২৫ লাখ টাকা ঋণ পাবেন।
১৮তম থেকে ২০তম গ্রেডভুক্তরা ঢাকাসহ বিভাগীয় সদরের জন্য ৩০ লাখ, জেলা সদরের জন্য ২৫ লাখ এবং অন্যান্য এলাকার জন্য ২০ লাখ টাকা ঋণ পাবেন।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ব্যক্তিগত জমির ওপর বাড়ি তৈরি করতে চাইলে ঋণের আবেদনপত্রের সঙ্গে জমির মূল মালিকানা দলিল জমা দিতে হবে। শুধু তাই নয়, মালিকানা পরম্পরার তথ্যও দিতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে সিএস, এসএ, আরএস এবং বিএস রেকর্ডের তথ্য। এ ছাড়া জেলা বা সাব-রেজিস্ট্রি অফিস থেকে ১২ বছরের নির্দায় সনদ নিতে হবে। ফ্ল্যাট কেনার ক্ষেত্রে মালিকানার দলিল জমা রাখতে হবে।
সরকারি প্লট বা সরকার থেকে ইজারা নেয়া জমিতেও বাড়ি তৈরি করা যাবে। এ ক্ষেত্রে ঋণ আবেদনের সঙ্গে প্রথমেই জমা দিতে হবে প্লটের বরাদ্দপত্রের প্রমাণপত্র। এ ছাড়া দখল হস্তান্তরপত্র, মূল ইজারার দলিল ও বায়া দলিলের প্রমাণপত্র দিতে হবে। ঋণ আবেদনপত্রের সঙ্গে আরও জমা দিতে হবে নামজারি খতিয়ানের জাবেদা নকল, খাজনা রসিদ ও আমমোক্তারনামা দলিল। জমিতে ডেভেলপারকে দিয়ে বাড়ি তৈরি করলে জমির মালিক এবং ডেভেলপারের সঙ্গে নিবন্ধন করা ফ্ল্যাট বণ্টনের চুক্তিপত্র, অনুমোদিত নকশা, ফ্ল্যাট নির্মাণস্থলের মাটি পরীক্ষার প্রতিবেদন, সরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর নির্ধারিত ছকে ইমারতের কাঠামো নকশা ও ভারবহন সনদ জমা দিতে হবে।
এ ছাড়া ডেভেলপার কোম্পানির সংঘ স্মারক, সংঘবিধি ও রিহ্যাবের নিবন্ধন সনদ, নকশা অনুযায়ী কাজ করার ব্যাপারে ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানের দেয়া অঙ্গীকারনামা, অন্য কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ঋণ নেই- মর্মে ডেভেলপারের দেয়া স্ট্যাম্প পেপারে ঘোষণাপত্রও থাকতে হবে।
নীতিমালায় বলা হয়েছে, ঋণগ্রহীতা কর্মচারী ব্যাংক রেটের সমহারে (বর্তমানে যা ৫%) সুদ পরিশোধ করবেন। সুদের অবশিষ্ট অর্থ সরকার ভর্তুকি হিসেবে দেবে। ঋণ পরিশোধের মেয়াদ হবে সর্বোচ্চ ২০ বছর। গৃহ নির্মাণের ক্ষেত্রে টাকা পাওয়ার এক বছর পর থেকে এবং ফ্ল্যাট কেনার ক্ষেত্রে ঋণের টাকা পাওয়ার ছয় মাস পর থেকে মাসিক কিস্তিতে ঋণ পরিশোধ শুরু করবেন।
ঋণ পাওয়ার যোগ্যতা হিসেবে চূড়ান্ত হওয়া নীতিমালার ৩ ধারায় বলা হয়েছে, আবেদনকারীকে সরকারি প্রতিষ্ঠানে রাজস্ব খাতভুক্ত স্থায়ী পদে কর্মরত হতে হবে। সর্বোচ্চ বয়সসীমা হবে ৫৬ বছর। তবে কোনও কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় বা দুর্নীতি মামলার অভিযোগপত্র দাখিল হলে সে মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তিনি ঋণ পাওয়ার যোগ্য হবেন না। সরকারি চাকরিতে চুক্তিভিত্তিক, খণ্ডকালীন ও অস্থায়ী ভিত্তিতে নিযুক্ত কেউ এই ঋণ সুবিধা পাবেন না।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2011-2025 VisionBangla24.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com