সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২৩ পূর্বাহ্ন
ডেস্ক নিউজঃ রাজধানীতে দূষিত পানির বিষয়টি স্বীকার করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে ঢাকা ওয়াসা কর্তৃপক্ষ। এতে সাম্প্রতিক সময়ে প্রথমবারের মতো রাজধানীর ৬৯টি এলাকায় নিজেদের সরবরাহ করা পানি দূষিত বলে স্বীকার করেছে ঢাকা ওয়াসা।
আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি জেবিএম হাসানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে এই প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়।
প্রতিবেদন উপস্থাপনের সময় আদালত মন্তব্য করেন, কেবল পানি উৎপাদন করা ওয়াসার এমডির দায়িত্ব নয়, মানুষের দোরগোড়ায় বিশুদ্ধ পানি পৌঁছে দেওয়ায় তার কাজ।
ওয়াসার প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকার ৬৯ এলাকার পানি বেশি দূষিত। ওয়াসার সরবরাহকৃত বাসা বাড়ির ট্যাপের পানি পরীক্ষা করে এই প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে।
ওয়াসার পানি দূষণের বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধানের মতামত জানতে চায় আদালত। ২১ মে তাকে আদালতে হাজিরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে ঢাকা ওয়াসার পানি পরীক্ষায় কত টাকা খরচ হবে, তা জানিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় হাইকোর্টে প্রতিবেদন পাঠিয়েছে। মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. জহিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এই প্রতিবেদন গতকাল বুধবার অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ে পৌঁছে। আজ বৃহস্পতিবার প্রতিবেদনটি বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চে উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।
প্রতিবেদনে দুই দফায় পানির এক হাজার ৬৪টি নমুনা পরীক্ষায় খরচ ধরা হয়েছে ৭৫ লাখ ৬১ হাজার ৫০০ টাকা। এর মধ্যে নিজস্ব ল্যাবে খরচ হবে ৫০ লাখ ৭৬ হাজার ৫০০ টাকা এবং দ্বিতীয় দফায় বুয়েটের ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষায় খরচ হবে ২৪ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। প্রতিবেদনে বলা হয়, গত তিন মাসে হটলাইনের (১৬১৬২) মাধ্যমে ঢাকার আটটি জোন থেকে ২৯২টি অভিযোগ এসেছে। এসব স্থান থেকে নমুনা সংগ্রহ করে প্রথমে ওয়াসার নিজস্ব ল্যাবে পরীক্ষা করা হবে। পরে আরো নিশ্চিত হতে তা বুয়েটের ল্যাবে পরীক্ষা করা হবে।
গত বছরের ৬ নভেম্বর হাইকোর্টের দেওয়া এক নির্দেশে ঢাকা ওয়াসার পানি পরীক্ষার জন্য চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, বুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এবং আইসিডিডিআরবির প্রতিনিধির সমন্বয়ে এ কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটির নামের তালিকা গত ১৮ এপ্রিল অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ে পাঠায় মন্ত্রণালয়।