শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:০৬ অপরাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট: করোনাভাইরাস চিকিৎসায় বড় অগ্রগতিতে রাশিয়া। বিশ্বের প্রথম কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে কাজ করতে সক্ষম ভ্যাকসিন তৈরি করেছে রাশিয়া। ইতোমধ্যে ভারতসহ ২০ দেশ থেকে ১০০ কোটি ডোজ ভ্যাকসিনের অর্ডার পেয়েছে রাশিয়া।
রাশিয়ার ডাইরেক্ট ইনভেসমেন্ট ফান্ডের প্রধান ক্যারিল দিমিত্রিভ একটি অনলাইন সাংবাদিক বৈঠকে জানান, এরই মধ্যে ২০টি দেশ থেকে রাশিয়ার গামালিয়া গবেষণা ইনস্টিটিউট অফ এপিডেমিওলজি অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজির তৈরি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের এক বিলিয়ন ডোজ সরবরাহের আবেদন এসেছে।
রাশিয়া এ ভ্যাকসিনের নাম দিয়েছে ‘স্পুটনিক ভি’। ১৯৫৭ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নে চালু হওয়া প্রথম উপগ্রহের নাম ‘স্পুটনিক’। পরে এই ভ্যাকসিনটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘স্পুটনিক ভি’। রুশ সরকারের সূত্র অনুযায়ী, ভারত ভ্যাকসিনের ট্রায়ালের পাশাপাশি উৎপাদনও করবে।
মঙ্গলবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বিশ্বে প্রথম করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কারের সাফল্য ঘোষণা করেন। এর পরই রাশিয়া দাবি করেছে, ভারতসহ ২০টি দেশ ভ্যাকসিন চেয়ে রেখেছে। এর পরিমাণ ১ বিলিয়ন মানে ১০০ কোটি ডোজ।
বিশ্বের প্রথম দেশ হিসাবে করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিয়েছে রাশিয়া। ভ্লাদিমির পুতিন দাবি করেন, এই ভ্যাকসিন নিরাপদ। তার নিজের কন্যা টিকার প্রথম ডোজ শরীরে নিয়েছেন। প্রয়োজনীয় সব ধাপ অতিক্রম করেই তা কার্যকর হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। ভ্যাকসিনটি বেশ কার্যকরভাবে কাজ করছে এবং ভ্যাকসিনটি একটি স্থিতিশীল প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করছে।
যদিও গামালেয়া ইনস্টিটিউটের তৈরি ওই ভ্যাকসিনটির কোনো প্রকার বৈজ্ঞানিক তথ্য কোনো বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশ করা হয়নি। এতে ভ্যাকসিনটির কার্যকারিতা নিয়ে বিশ্বজুড়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মধ্যে।
ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন জেনেটিকস ইনস্টিটিউটের জিনবিষয়ক গবেষক ফ্রাসোয়া ব্যালো রয়টার্সকে বলেছেন, রাশিয়ার ভ্যাকসিন ব্যবহারের অনুমোদন একটি বেপরোয়া ও মূর্খ সিদ্ধান্ত। ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা ভালোভাবে যাচাই না করেই গণহারে মানুষের জন্য ব্যবহারের অনুমোদন অনৈতিক। এতে করে রাশিয়ান জনগণের স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।