রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪৬ পূর্বাহ্ন
‘সাইকো শঙ্কর’ নামেই পরিচিত তিনি। নিজের কুকর্মের জেরেই এভাবে পরিচিত হয়েছেন। তার কুকর্ম নিয়ে নির্মাণ হয়েছে ‘সাইকো শঙ্কর’ নামে চলচ্চিত্র।
তার আসল নাম এম জয়শঙ্কর। একের পরে এক ধর্ষণ করেছেন সারা জীবনে। ৩০ জনকে ধর্ষণ ও ১৫ জনকে খুনের দায় রয়েছে ৩৮ বছর বয়সি শঙ্করের বিরুদ্ধে। বেঙ্গালুরুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে বুধবার আত্মহত্যা করেছেন সেই তিনি।
সাইকো সিরিয়াল কিলার জয়শঙ্কর নারীদের প্রথমে ধর্ষণ ও পরে খুন করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে। পুলিশের একজন কনস্টেবলকেও একই ভাবে হত্যা করেন তিনি। এর পরেই ২০০৯ সালের ১৯ অক্টোবর তাকে গ্রেফতার করে ত্রিপুরা পুলিশ।
কিন্তু তাকে আটকে রাখা যায়নি। ২০১১ সালে পুলিশের ইউনিফর্ম জোগাড় করে পালানোর রাস্তা তৈরি করে ফেলেন। সাফল্যের সঙ্গে পুলিশ সেজে কারাগার থেকে পালিয়েও যান তিনি।
ওই ঘটনার জেরে কারাগারে দায়িত্বে থাকা ১১ পুলিশ কর্মীকে বহিষ্কার করা হয়। তার ঘটনা নিয়ে ২০১৭ সালে ‘সাইকো শঙ্কর’ নামে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ হয়।
জেল পালানোর পরেও কুকর্ম থামেনি শঙ্করের। একের পরে এক ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ উঠতে থাকে শঙ্করের নামে। এক পুরুষ ও এক শিশুকে হত্যারও অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। তবে বেশি দিন জেলের বাইরে থাকা হয়নি তার। ২০১১ সালেরই ৪ মে তাকে আবারো আটক করা হয়।
দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত তিনি লেখাপড়া করেছেন বলে জানা গেছে। নিজের ভাষা ছাড়াও কয়েকটি ভাষায় কথা বলতে পারতেন তিনি।
পরে আর কারাগার থেকে পালাতে না পেরে ব্লেড দিয়ে হাত কেটে আত্মহত্যা করেন। পুলিশ বলছে, জেলে চুল-দাড়ি কাটতে আসা কর্মীর কাছ থেকেই ব্লেড জোগাড় করেন জয়শঙ্কর। রক্তাক্ত অবস্থায় শঙ্করকে উদ্ধারের পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয়।