শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:১৯ অপরাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভার সদস্যরা এরই মধ্যে শপথ নিয়েছেন। মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) প্রথম ধাপে ৩১ জন ফেডারেল মন্ত্রী, তিনজন রাজ্যমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর তিনজন উপদেষ্টার শপথগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।
আইন-ই-সদরে আয়োজিত অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন- দেশটির সিনেটের চেয়ারম্যান সাদিক সানজারানি। প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি নতুন মন্ত্রীদের শপথবাক্য পাঠ করাতে অস্বীকৃতি জানালে আকস্মিক এই শপথগ্রহণের দিন পিছিয়ে দেওয়া হয়। যদিও প্রেসিডেন্টের অনুপস্থিতিতে সাদিক সানজারানি নতুন মন্ত্রীদের শপথবাক্য পাঠ করান।
মন্ত্রিসভার সদস্যদের ব্যাপারে আলোচনা করার জন্য গত শনিবার দিবাগত রাতে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে শাহবাজের সঙ্গে বৈঠক করেছেন পিপিপি চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো এবং কো-চেয়ারম্যান আসিফ আলি জারদারি।
এর আগে আসিফ আলি জারদারি সাংবাদিকদের বলেছিলেন, পিপিপি এই মন্ত্রিসভায় যোগ দেবে না; কারণ আমি চেয়েছিলাম জোট শরিকদের আগে স্থান দেওয়া হোক। পরবর্তীকালে পিপিপির এই নেতা ব্যাখ্যা করে বলেন, তার মানে এই নয় যে আমার দল মন্ত্রিসভায় অংশ নেবে না।
বিশ্লেষকদের মতে, পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল মূলত ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে। যদিও এর আগেই পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতা ছাড়তে হয়েছে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে। অতীতের ধারা অনুসরণ করেই মেয়াদ পূর্ণ করার আগেই পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের পতন হয়েছে। এরপর জাতীয় অধিবেশনে ভোটাভুটিতে দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হন শাহবাজ শরিফ।
এদিকে পাঞ্জাবের গভর্নর ওমর সরফরাজ চিমা স্থগিত রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী পদে জয়ী হওয়া হামজা শাহবাজের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। রবিবার (১৭ এপ্রিল) পাঞ্জাবের গভর্নর সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বলেন, পাঞ্জাবের অ্যাসেম্বলিতে যে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে সেটা ভীষণই নিন্দনীয়। তিনি আরও বলেন, আমি নিজেও একজন রাজনৈতিক কর্মী, ভোটের জন্য যুদ্ধ করছি এবং এটা খুবই ভুল নজির স্থাপন করা হচ্ছে।
তিনি বলেছেন, সাংবিধানিক অফিসে বসে আমি অসাংবিধানিক কাজকে সমর্থন করতে পারি না। আমি এই শপথ গ্রহণের কার্যক্রম শুরু করব যখন আমি সন্তুষ্ট হবো যে এই নির্বাচন সংবিধান এবং লাহোর হাইকোর্টের আদেশ অনুসারে পরিচালিত হয়েছে।