শেখ ইমন,ঝিনাইদহ:
পরীক্ষার হল থেকে ফেসবুক লাইভে এসেছিলেন ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন ওরফে সুমন। ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছিল লাইভটি। এবার সেই পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। গতকাল সোমবার বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. আবদুর রহমানের সই করা ফলাফল প্রকাশিত হয়। ফলাফলে দেখা গেছে, মনির হোসেনকে বহিষ্কারের পাশাপাশি প্রিজম কম্পিউটার একাডেমির বাকি ১৪ শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছেন।
লাইভে মনির হোসেন বলেছিলেন, আমরা ছাত্রলীগ, যেখানে যাব সেখানেই বুলেট। রোজা থেকে পরীক্ষা দিচ্ছি, গোল্ডেন এ প্লাস পাবো। পরীক্ষার খাতায় গ্রুপের জায়গা লিখে দিয়েছি, ‘এমপি আনার গ্রুপ’ (স্থানীয় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার)। স্যাররা এ প্লাস না দিলে বোর্ডমোড ভেঙে ফেলবো।
গত ৮ই এপ্রিল ঝিনাইদহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে মনির হোসেনসহ ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন নেতা ওই কোর্সের পরীক্ষায় অংশ নিতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকেই তিনি ৯ মিনিট ৩৮ সেকেন্ডের জন্য লাইভে আসেন। লাইভে মনির হোসেন আরও বলেছিলেন, আমাদের পরীক্ষা চলছে, সবাই লিখছে আমি বসে আছি। সবাই লিখছে বাংলায়, আমি তো বাংলায় লিখি না, ইংলিশে লিখি।
অনেক দিনের ইচ্ছা ছিল পরীক্ষার হলে ফেসবুকে লাইভ করব। সেই ইচ্ছা আজ পূরণ হলো। ম্যাডামও দেখি আমাকে ভিডিও করছে। স্যাররা ঘুমাচ্ছে, আমি ইংরেজিতে লিখেছি, সালামও লিখেছে।
সেসময় ঝিনাইদহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের প্রধান ইনস্ট্রাক্টর সোহরাব হোসেনকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দেয়। সেখানে মনির হোসেনের পরীক্ষা বাতিলের সুপারিশ করা হয়। অন্যদিকে ঘটনার রাতেই বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আল নাহিয়ান খান ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্জ কালীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্তি ঘোষণা করেন।