শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:০৪ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক:
গোপালগঞ্জের সদর থানাধীন জামাল মিয়াকে স্বেচ্ছাসেবক দলের দিদার হত্যা মামলায় আটক করেছেন গোপালগঞ্জ থানা পুলিশ। জামাল মিয়ার স্ত্রী মারা গেছেন এক মাস আগে রেখে গেছেন দুইটি জমজ নবজাতক শিশু ৷ বাবাকে পুলিশে ধরে নিয়ে গেছে৷ এখন আমরা কীভাবে বাঁচবো কথাগুলো শিশু সাজ্জাদের(১৩)।
গোপালগঞ্জ কোটালীপাড়া থানা পুলিশ গত শুক্রবার চিত্রাপাড় গ্রাম থেকে জামাল মিয়াকে আটক করে গোপালগঞ্জ সদর থানায় স্থানান্তর করে এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের দিদার হত্যা মামলায় জেল হাজতে পাঠানো হয়৷ জানা যায় যে জামাল কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে জড়িত নহে।
দিনমজুর জামাল মিয়ার চারটি সন্তান দেখার জন্য কেউ নেই৷ জামাল মিয়ার ভাই মনির মিয়া বলেন, আমার ভাই বর্তমানে কোন রাজনীতির সাথে জড়িত নয়৷ তবে কেনো আমার ভাইকে দিদার হত্যা মামলায় আটক করেছে কিছুই বুজতে পারি নাই। আমার ভাই জামাল মিয়ার দুইটি জমজ নবজাতক শিশু ও দুই সন্তান রেখে তার স্ত্রী মারা জান। শিশু সাজ্জাদ(১৩) বলেন, আমার বাবাকে গোপালগঞ্জ থানা পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে। এখন আমরা কীভাবে বাঁচবো আমার মা মারা গেলে এক মাস আগে এখন বাবাই আমাদের সব । আমার বাবাকে যদি কাছে না পাই তবে আমাদের বেঁচে থেকে লাভ কি কে আমার দেখবে কে আমাদের সান্ত্বনা দিবে। তাই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে বিশেষ অনুরোধ আমার বাবা কে আমাদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য জোর দাবি শিশু সাজ্জাদ।