শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ০৪:০১ অপরাহ্ন
স্পোর্টস ডেস্ক:
আগস্ট মাসে বাংলাদেশ সফরে এসে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি–টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার কথা ছিল ভারতীয় ক্রিকেট দলের। পাশাপাশি, সেপ্টেম্বরে নির্ধারিত ছিল এশিয়া কাপ।
তবে সাম্প্রতিক ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা এবং নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণে এই দুই গুরুত্বপূর্ণ সিরিজই অনিশ্চয়তার মুখে।
বিসিসিআইয়ের নেতিবাচক অবস্থান
টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ এবং এশিয়া কাপের আয়োজন নিয়ে ইতোমধ্যে নেতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছে। মূলত স্থগিত হয়ে যাওয়া আইপিএল-এর বাকি ১৬টি ম্যাচ আগস্ট–সেপ্টেম্বরেই আয়োজনের পরিকল্পনা করছে বিসিসিআই। ফলে, ওই সময় আন্তর্জাতিক সূচিতে থাকা দুইটি বড় টুর্নামেন্টই পড়ছে প্রশ্নের মুখে।
ধর্মশালার ঘটনা: ক্রিকেটারদের মানসিক ধাক্কা
৮ মে, ধর্মশালায় পাঞ্জাব কিংস বনাম দিল্লি ক্যাপিটালস ম্যাচ চলাকালীন হঠাৎ করে স্টেডিয়ামের ফ্লাডলাইট নিভিয়ে দেওয়া হয়। পরে জানা যায়, নিরাপত্তাজনিত কারণে খেলা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ওই সময়েই ভারতের পশ্চিম সীমান্তে একাধিক হামলা চালিয়েছিল পাকিস্তান, যা ভারত-পাকিস্তান সামরিক উত্তেজনার অংশ।
ঘটনার প্রেক্ষিতে খেলোয়াড়দের মধ্যে ভয় ও অস্থিরতা তৈরি হয়। পরদিন ভোরেই উভয় দলের খেলোয়াড়রা ধর্মশালা ত্যাগ করেন। এই ঘটনার পর বিসিসিআই-এর দৃষ্টিভঙ্গিতে নাটকীয় পরিবর্তন আসে, এবং তারা আইপিএল আয়োজন ও খেলোয়াড়দের নিরাপত্তাকেই এখন প্রধান অগ্রাধিকার হিসেবে বিবেচনা করছে।
আইপিএলের জন্য জায়গা ছেড়ে দিচ্ছে আন্তর্জাতিক সূচি
সূচি অনুযায়ী, আইপিএল চলতি মে মাসেই শেষ হওয়ার কথা ছিল। এরপর ভারতীয় দল জুনে পাঁচ টেস্টের সিরিজ খেলতে ইংল্যান্ড সফর করবে। এরপরই ছিল বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ এবং তারপর এশিয়া কাপ। তবে এখন বিসিসিআই আগস্ট–সেপ্টেম্বর মাস জুড়ে আইপিএলের বাকি ম্যাচগুলো আয়োজন করতেই বেশি আগ্রহী।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, “ধর্মশালার ঘটনার পর বিসিসিআই খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা ও মানসিক সুস্থতাকে সবচেয়ে গুরুত্ব দিচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সফর বা এশিয়া কাপ আয়োজন নিয়ে তারা নমনীয় কোনো অবস্থানে নেই। ”
এমনকি যদি আইপিএল আগস্টের আগে শেষও হয়, তবু এই দুটি আন্তর্জাতিক ইভেন্ট বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি বলেই জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।