সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৫৮ পূর্বাহ্ন
ভিশন বাংলা ডেস্ক: চাকরিতে কোটা সংস্কার দাবির চলমান আন্দোলনে পুলিশি হামলার বিচার ও আটকদের মুক্তি না দেয়া পর্যন্ত ছাত্রধর্মঘট চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। দুপুরের মধ্যে শিক্ষার্থীদের মুক্তি না দিলে বিকাল থেকে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন আন্দোলনকারীরা।
দাবি মেনে না নেয়া পর্ষন্ত সারাদেশের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট চলবে বলেও জানান তিনি।
রাশেদ খান বলেন, আমরা পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) বলতে চাই, যারা আন্দোলন করছেন, তারা আপনার ভাই বা সন্তানের মতো। তারা কারো বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে না। তারা অধিকারের প্রশ্নে আন্দোলন করছে। তাই আটক ব্যক্তিদের মুক্তি দিন। তা না হলে আন্দোলনে দাবানল সারা দেশে ছড়িয়ে পড়বে।
তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বাসায় হামলাকারীদের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের কোনো সম্পর্ক নেই। আমাদের আন্দোলন বাধাগ্রস্ত করতে কোনো কুচক্রী মহল এটা করেছে।
সরকারি চাকরিতে নিয়োগে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে বেশ কিছু দিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসছে ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’। গত ১৪ মার্চ তারা ৫ দফা দাবিতে স্মারকলিপি দিতে সচিবালয় অভিমুখে যেতে চাইলে পুলিশি ধরপাকড় ও আটকের শিকার হন।
নানা কর্মসূচি পালনের পর রবিবার পদযাত্রার কর্মসূচি দিয়ে শাহবাগে অবস্থান নেয় তারা। বেলা আড়াইটার দিকে পাবলিক লাইব্রেরির সামনে তারা সমবেত হয়। তারা সাড়ে ৪ ঘণ্টা গুরুত্বপূর্ণ শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখানোর পর রাতে পুলিশ লাঠিপেটা ও রাবার বুলেট-কাঁদুনে গ্যাস ছুড়ে তাদের উঠিয়ে দেয়। এরপর বিক্ষোভ আর সংঘাত ছড়িয়ে পড়ে পুরো ক্যাম্পাসে। রাত দেড়টা থেকে ২টার মধ্যে উপাচার্যের বাসভবনে হামলা চালিয়ে ভ্যাপক ভাঙচুর করা হয়।
সকালে নিজের কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এসে উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান বলেন, এটা সাধারণ বিক্ষোভকারীদের হামলার ঘটনা ছিল না। ‘প্রশিক্ষিত’ হামলাকারীরা মুখোশ পরে এসেছিল ‘প্রাণনাশের’ জন্য।
রবিবার মধ্যরাতের পর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক ক্যাম্পাসে গিয়ে আন্দোলনকারীদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের ব্যাপারে অবগত আছেন।