বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫৩ অপরাহ্ন
মেয়েটির নাম প্রিয়াঙ্কা দাস। বাসে বাড়িতে ফিরছিলেন। কিন্তু পাশের যাত্রী করছিলেন অসভ্যতা। প্রকাশ্য বাসে সাহায্য চেয়েও পাননি প্রিয়াঙ্কা। কৌশলে ধারণ করেন সেই ‘অসভ্যতা’র ভিডিও। ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। অর্ধকোটির বেশি মানুষ ভিডিওটি দেখে। এরপর টনক নড়ে কলকাতা পুলিশের।
প্রিয়াঙ্কা বলেন, আমি আর আমার এক বন্ধু আজ সকালে নাগা হেদুয়া থেকে বাড়ির পথে ফিরছিলাম বাসে। হঠাত বাসের মধ্যে দেখি এই লোকটি আমাদের দিকে তাকিয়ে অভদ্রতা করছে সবার সামনে। তবুও কেউ কোনো প্রতিবাদ জানালো না না। শেষমেষ কনডাক্টরকে বলতে কন্ডাক্টর হেসে বলে ‘কী করবো বলুন কার মনে কী আছে কি করে বুঝবো?’
তিনি বলেন, আমি চিৎকার করলাম বাসে, উনাকে ধরুন উনি আমাদের সাথে অভদ্রতা করছেন, কেউ একটাও প্রতিবাদ করলো না। এই ঘটনা ১৫ দিন আগেও ঘটেছিল তখন ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। তাই প্রতিবাদ করিনি। এখন করলাম। বিচার চাই।
প্রিয়াঙ্কা বলেন, এর আগের দিন এরচেয়েও বাজেভাবে অভদ্রতা করেছিল। সেদিন প্রতিবাদ ছিল না। আজ প্রমাণ নিয়ে এসেছি।
প্রিয়াঙ্কা দাস জানান, সোশ্যাল মিডিয়ায় বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ার পর কলকাতা পুলিশ এগিয়ে আসে। এজন্য তিনি সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এদিকে প্রিয়াঙ্কার এই সাহসী উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন নেটিজেনরা।