সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:২৫ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক:
শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক এবং উপবৃত্তি প্রদানের ফলে শিক্ষাক্ষেত্রে সকলের জন্য সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। শতকরা ৯৯ শতাংশের বেশি শিশু এখন বিদ্যালয়ে নাম নিবন্ধন করছে।
আজ ঢাকা কলেজে কেন্দ্রীয়ভাবে একাদশ শ্রেণির নবীন শিক্ষার্থীদের ‘ওরিয়েন্টেশন ও নবীন বরণ উৎসবে’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আজ থেকে সারা দেশে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের একাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু উপলক্ষে এই নবীন বরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. মোয়াজ্জম হোসেন মোল্লাহ্র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো.সোহরাব হোসাইন, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর মো.মাহাবুবুর রহমান, কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক নেহাল আহমেদ এবং শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শামীমা বেগম।
নূরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, দরিদ্র পরিবারের শিশুরাও এখন বিদ্যালয়ে যাচ্ছে। বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক এবং উপবৃত্তি প্রদানের ফলে সকল শিশু বিদ্যালয়ে আসছে। ত্রুটি-বিচ্যুতি সত্ত্বেও শিক্ষাক্ষেত্রে যুগান্তকারী পরিবর্তন এসেছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নীত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ নির্মাণের জন্য নতুন প্রজন্মকে গড়ে তুলতে হবে।
প্রযুক্তিজ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন করে ভাল মানুষ হয়ে গড়ে উঠার আহবান জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী সব বলেন, পরিপূর্ণ ও উপযুক্ত মানুষ হয়ে উঠতে হবে। এক্ষেত্রে শিক্ষকদের দায়িত্ব নিতে হবে। তিনি নবীন শিক্ষার্থীদের পড়াশুনা মনোযোগী ও সময়কে কাজে লাগানোর আহবান জানান। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কলেজে ভর্তি কার্যক্রমকে পুরোপুরি অনলাইনে করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ঢাকা কলেজে একটি ১০-তলাবিশিষ্ট নতুন ভবন নির্মাণ করা হবে। হোস্টেল ও নতুন লাইব্রেরি ভবন নির্মাণ করাসহ ২২ কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
পরে শিক্ষামন্ত্রী রাজধানীর মতিঝিলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) মিলনায়তনে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের তিনটি পাঠ্যপুস্তক – বাংলা সাহিত্যপাঠ, বাংলা সহপাঠ এবং ইংলিশ ফর টুডে বাজারজাতকরণ ও বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
এনসিটিবি’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র সাহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক মো. মাহাবুবুর রহমান, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম ছায়েফ উল্যাহ, বাংলাদেশ মুদ্রণ শিল্প সমিতির সভাপতি তোফয়েল হোসেন খান এবং বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সহ-সভাপতি শ্যামল পাল।