শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:০০ অপরাহ্ন
কেক কিংবা চকোলেট, পায়েস হোক বা চাটনি, সব কিছুতেই কাজুবাদাম আমাদের খুব পছন্দের।
তবে কাজুবাদাম যে শুধুমাত্র স্বাদের জন্য খাওয়া হয় তা কিন্তু নয়। কাজুবাদামের অনেক গুণাগুণ রয়েছে। এতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি রয়েছে। ডায়টিশিয়ান, নিউট্রিশিয়ান এবং সমস্ত চিকিৎসকরাই শরীরের জন্য কাজুবাদাম খাওয়ার পরামর্শ দেন।
কাজুবাদাম যে কোনো খাবারের স্বাদ অনেকটা বাড়িয়ে দেয়। এই বাদামে প্রচুর পরিমাণে মিনারেল, ভিটামিন এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্টস রয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতি ১০০ গ্রাম কাজুবাদামে ৩০.১৯ গ্রাম শর্করা, ১৮.২২ গ্রাম আমিষ, ৪৩.৮৫ গ্রাম চর্বি থাকে। বাজারে বিভিন্ন ধরণের কাজু বাদাম পাওয়া যায় যেমন- লবণাক্ত, সিদ্ধ বা মশলাযুক্ত।
কাজু বাদামে বিভিন্ন ভিটামিন, লৌহ, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম, জিঙ্ক খনিজ উপাদান রয়েছে। যেহেতু কাজুতে উচ্চমাত্রার ক্যালোরি থাকে তাই দৈনিক ৫-১০টা কাজু বাদাম খাওয়াই যথেষ্ট। কাজু গাছের বৈজ্ঞানিক নাম অ্যানাকার্ডিয়াম (Anacardium occidentale)।
১। কাজু বাদাম ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার। আমাদের শরীরে দৈনিক ৩০০-৭৫০ গ্রাম ম্যাগনেসিয়াম প্রয়োজন। আর এটা পূরণ করে এ বাদাম। কাজু মাংসপেশী ও স্নায়ুর সঠিক কাজ ও হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে।
২। কাজু বাদামে কোলেস্টেরল থাকে না, এবং এতে ভালো ফ্যাট আছে। খারাপ কোলেস্টেরল এলডিএলের মাত্রা কমতে সাহায্য করে কাজুবাদাম। তাছাড়া কাজুতে অলেইক এসিড থাকে যা হার্টের জন্য অনেক উপকারি।
৩। কাজুতে সোডিয়াম কম এবং পটাসিয়াম বেশি থাকে। যার ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৪। কাজু বাদামে সেলেনিয়াম ও ভিটামিন ই থাকে। কাজুতে থাকা জিংক ইনফেকশনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে আপানাকে সুস্থ রাখে। কাজু ফ্রি র্যাডিকেলের জারণ প্রতিরোধ করে, যার ফলে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
৫। কাজুতে উচ্চমাত্রার কপার থাকে তাই এনজাইমের কাজে, হরমোনের উৎপাদনে এবং মস্তিস্কের কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও লাল রক্ত কণিকার উৎপাদনেও সাহায্য করে। এক কথায় এটা অ্যানেমিয়া প্রতিরোধ করে।
সতর্কতা:
যাদের অ্যালার্জি ও মাইগ্রেনের সমস্যা আছে তাদের কাজু বাদাম না খাওয়াই ভালো। হাইপারটেনশনের রোগীরা লবণাক্ত কাজু খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।