সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫০ অপরাহ্ন
বাসুদেব রায়, ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধীঃ নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলাধীন ৪নং খগা খড়িবাড়ী ইউনিয়নের খগা বড়বাড়ী বালিকা দ্বি-মূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছাঃ মারুফা বেগম ও অত্র বিদ্যালয়ের সভাপতি মোঃ আবুল কালাম আজাদ যোগসাযোস করে বিদ্যালয়ের এস.এস.সি পরীক্ষার্থী ১। ফারহানা আক্তার ২। শেফালী বেগম ৩। গৌরি রানী ৪। বৃষ্টি রানী ৫। সুলতানা আক্তার ৬। লাকী আক্তার ৭। মিরিজা আক্তার ৮। মৌসুমী আক্তার ৯। লুনা আক্তার ১০। রানী আক্তার ১১। সুখি আক্তার ১২। রিনু আক্তার ১৩। রুমা আক্তার ও ১৪ তামান্না আক্তার বলেন যে, প্রধান শিক্ষক আমাদের নিকট বিভিন্ন তালবাহানা ও চাপ প্রয়োগ করে নির্ধারিত বোর্ড ফি ব্যতিত অতিরিক্ত টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন। এ প্রসঙ্গে সংবাদকর্মীরা প্রধান শিক্ষকের নিকট কিছু জানতে চাহিলে তিনি বলেন যে, দেশের সব প্রতিষ্ঠানে দূর্নীতি চলিয়া আসিতেছে সেটা তো কাহারো চোখে পড়ে না, কিন্তুু আমি করলে কিসের সমস্যা বলে তিনি একঘিয়ামী সুলভ আচরন করে। উক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক মনে করেন তাহার দূর্নীতি দেখার বা বলার মত কেউ নাই। নির্ধারিত বোর্ড ফিতে উল্লেখ আছে প্রতি শিক্ষার্থী বাবদ এক বিষয়ে ৫৪৫/- টাকা ও দুই বিষয়ে ৬৩৫/- টাকা এবং সকল বিষয় ১৬৫০/- টাকা। অথচ সেখানে প্রধান শিক্ষক নিজের প্রভাব খাটিয়ে এক বিষয় নিয়েছে ১২০০/- টাকা ও যাদের দুই বিষয় রয়েছে তাহাদের নিকট হইতে ১৩০০/- টাকা এবং সকল বিষয়ের জন্য নিয়েছে ২৩০০/- হারে হাজার হাজার টাকা আত্মসাৎ করিতেছেন বলে শিক্ষার্থীরা ও এলাকার অভিজ্ঞজনেরা মনে করেন। এ বিষয়ে শিক্ষার্থীরা জনমনে ডিমলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. নাজমুন নাহার ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল হালিম এর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করিলে তাহারা জানান ইহার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। কিন্তু অদ্যাবধি পর্যন্ত ইহার কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় নাই বলে শিক্ষার্থীরা জানান। এ বিষয়ে সংবাদকর্মী উপজেলা মাধ্যমিক অফিসার আব্দুল হালিম এর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন আমি বর্তমানে ছুটিতে আছি। আমার পরিবর্তে উপজেলা মাধ্যমিক একাডেমিক সুপারভাইজার আমির বোরহান দায়িত্বে রয়েছে। এ বিষয়ে আমির বোরহান এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন আমার কাছে ফোনে বিষয়টি অনেক ছাত্রী জানিয়েছেন, বিষয়টি আমি অবগত আছি। ইহার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।