শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫, ১০:১২ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
লালমনিরহাটে তিনটি গ্রামকে মাদক মুক্ত এলাকা ঘোষণা করলো “শাহীন সচেতনতার প্লাটফর্ম” রূপগঞ্জে জলাবদ্ধতা নিরসনে বেদখল সরকারি খাল উদ্ধার চুনারুঘসটে ভাগিনার হাতে মামা খুন ভোলাগঞ্জ পাথর লুট ও টাঙ্গুয়ার হাওরে অপরিকল্পিত পর্যটনের প্রতিবাদে সুনামগঞ্জে সমাবেশ চাঁদাবাজিতে আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই: আসিফ মাহমুদ বীমা আইন লংঘন করে তাকাফুলে একই পরিবারের তিন পরিচালক নন-লাইফ বীমা খাতের উন্নয়ন বিষয়ক কিছু ভাবনা শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা দ্বিগুণ হচ্ছে এক হাজার ৩২২ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস করল বিজিবি জনগণের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : প্রধান উপদেষ্টা
এ মাসেই স্থানাস্তর হচ্ছে মোংলা কাস্টম হাউজ

এ মাসেই স্থানাস্তর হচ্ছে মোংলা কাস্টম হাউজ

মোংলা প্রতিনিধিঃ জানুয়ারি থেকেই স্থানাস্তর হচ্ছে মোংলা কাস্টম হাউজ। বন্দর ব্যবহারকারীদের দাবির মুখে মোংলা কাস্টম হাউজ খুলনার খালিশ পুর থেকে মোংলা বন্দর এলাকায় পূর্ণাঙ্গভাবে স্থানাস্তর করা হবে। শুক্রবার (৪ জানুয়ারি) রাতে মোংলা কাস্টম হাউজের কমিশনার সুরেশ চন্দ্র বিশ্বাস এই তথ্য জানিয়েছেন।
আগামী ২০ জানুয়ারি থেকে এর কার্যক্রম মোংলা বন্দরের নতুন ইউনিট থেকে চালু করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘খুলনাস্থ মোংলা কাস্টম হাউজের রফতানি শুল্কায়ন ও আমদানি শুল্কায়ন গ্রুপ-২ এবং ৪ এর শুল্কায়ানসহ সব কার্যক্রম চালু করতে এরই মধ্যে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।’
১৯৫০ সালের ১ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে দেশের দ্বিতীয় সামুদ্রিক বন্দর হিসেবে মোংলার কার্যক্রম শুরু হয়। তখন থেকেই মোংলা কাস্টমস হাউজ খুলনার খালিশপুরে অবস্থিত হওয়ায় ব্যবসায়ীদের অনেক ভোগাস্তি পোহাতে হচ্ছে বলে জানা যায়। দীর্ঘদিন ব্যবসায়ীরা আমদানি-রফতানির স্বার্থে মোংলা কাস্টম হাউস মোংলাতেই রাখার দাবি জানিয়ে আসছিলেন।
মোংলা বন্দর ব্যবহারকারী মেসার্স নুরু অ্যান্ড সন্সের কর্ণধার আলহাজ এইচ এম দুলাল এবং মেসার্স মায়া এন্টারপাইজের কর্ণধার আহসান হাবিব হাসান বলেন, ‘মোংলা বন্দর থেকে খুলনার খালিশপুর পর্যস্ত দূরত্ব ৫৮ কিলোমিটার। একজন ব্যবসায়ীকে শুল্কায়নসহ পণ্য খালাসের জন্যে দুই থেকে তিন দফায় খুলনা-মোংলা যাতায়াত করতে হয়। ব্যবসায়ীদের এ হয়রানি দীর্ঘ ৬৮ বছর ধরে চলে আসলেও এখনও মোংলায় আসেনি মোংলা কাস্টমস হাউজ। ’
তারা আরও বলেন, ‘মোংলা বন্দর থেকে প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হলেও যথাস্থানে কাস্টম হাউজের মূল অফিস না থাকায় ব্যবসায়ীদের ভয়াবহ ভোগাস্তিতে পড়তে হয়।’
তারা বলেন, ‘বন্দরে কাজ শেষ করে কাস্টম ক্লিয়ারেন্সের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে খুলনায় যেতে হয়। পরে ওই কাগজ নিয়ে আবার বন্দরে ফিরে এসে সংশ্লিষ্ট অফিসে জমা দিতে হয়।’
খুলনা সি অ্যান্ড এফ (ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং ) অ্যাসোসিয়েষনের সভাপতি সুলতান আহম্মেদ বলেন, ‘শুধু কার্যালয় মোংলায় আসলেই তো সমস্যার সমাধান হবে না। শুল্কায়ন কার্যক্রমের সঙ্গে বেশ কিছু কার্যক্রম জড়িত। ব্যাংকিং সেবা, ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং (সিঅ্যান্ডএফ), শিপিং এজেন্সির কার্যক্রমসহ বেশ কিছু কার্যালয়ও শুল্ক কার্যালয়ের সঙ্গে সঙ্গে মোংলায় স্থানাস্তর করতে হবে।’
মোংলা কাস্টমস হাউজের কমিশনার সুরেশ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ‘প্রতিষ্ঠার পর থেকে মোংলা বন্দরের আমদানি-রফতানিকৃত পণ্যের কাস্টমস সংশ্লিস্ট যাবতীয কার্যক্রম খুলনা ও মোংলা এ দু’স্থানে সম্পন্ন হয়ে আসছে। পণ্য পরীক্ষা, রামেজ (ঘোষণার অতিরিক্ত কোনও পণ্য জাহাজে আছে কিনা তা পরীক্ষা) , ইপিজেড পণ্য পরীক্ষা ও শুল্কায়ন, পণ্য খালাস, প্রিভেন্টিভসহ (নিবারকমূলক কার্যক্রম) আনুষঙ্গিক কার্যক্রম মোংলা কাস্টমস কাউজের বন্দর ইউনিট অর্থাৎ মোংলা বন্দরে সম্পন্ন হচ্ছে। অন্যদিকে সব প্রশাসনিক কার্যক্রমের পাশাপাশি আইজিএম (জাহাজে আমদানিকৃত পণ্যের ঘোষণা) দাখিল, আমদানি-রফতানিকৃত পণ্যের শুল্কায়ন, ব্যাংকিং কার্যক্রম ও রাসায়নিক পরীক্ষা সংশ্লিস্ট কার্যক্রম খুলনার খালিশপুরে অবস্থিত মূল কার্যালয়ে সম্পন্ন হয়ে আসছে। তবে মোংলা বন্দর উপদেষ্টা কমিটির ১৪ তম সভার সিদ্ধাস্ত অনুযায়ী আগামী ২০ জানুয়ারি থেকে মোংলা ইউনিট থেকে সব কর্যক্রম পরিচালিত হবে। এজন্য সংশ্লিষ্ট একাধিক দফতরে এ সংক্রাস্ত একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে।’
কিস্ত তাতে তাদের পুরো কার্যক্রম সম্পাদন করা সম্ভব হচ্ছে না।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর এ কে এম ফাররু হাসান বলেন, ‘যেকোনও মূল্যেই আমরা চাই মোংলা বন্দরের সঙ্গেই কাস্টমস কার্যালয় স্থানাস্তরিত হোক। আপাতত সমস্যার সমাধানের জন্যে আমাদের ট্রাফিক বিভাগের কিছু কক্ষ তাদের ছেড়ে দিয়েছি। কিস্ত তাতে তাদের পুরো কার্যক্রম সম্পাদন করা সম্ভব হচ্ছে না। এ সমস্যা সমাধানে যত দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায় সেটি আমাদের বন্দরের জন্কিস্ত তাতে তাদের পুরো কার্যক্রম সম্পাদন করা সম্ভব হচ্ছে না। এ সমস্যা সমাধানে যত দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায় সেটি আমাদের বন্দরের জন্যেই মঙ্গল।’কিস্ত তাতে তাদের পুরো কার্যক্রম সম্পাদন করা সম্ভব হচ্ছে না। এ সমস্যা সমাধানে যত দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায় সেটি আমাদের বন্দরের জন্যেই মঙ্গল।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com