রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫৫ অপরাহ্ন
ক্রীড়া ডেস্কঃ ‘মনযোগ’ এই শব্দটার পুরোপুরি বাস্তব প্রয়োগ করলে নিউজিল্যান্ড সফরে টানা তিন ইনিংসে সেঞ্চুরি করে ফেলতেন তামিম ইকবাল। যদিও তিনিই ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সফলতম। মনযোগ থাকলে সৌম্য সরকারের সাবলীল ব্যাটিং হঠাৎ থেমে যেত না। সঙ্গীহীন হয়ে পড়া লিটন দাসও ইনিংসা আরেকটু বড় করতে পারতেন। এমন অনেকগুলো আফসোস আজ দেখা দিল ওয়েলিংটন টেস্টের তৃতীয় দিনে। আরকেটি লো-স্কোরিং ইনিংসে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের সবচেয়ে ভূগিয়েছে শর্ট বল।
শর্ট বলে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের দুর্বলতার কথা সবারই জানা। কিউইরা ঘরের মাঠে এই অস্ত্র প্রয়োগ করেই ধারাবাহিক সাফল্য পাচ্ছে। আজও বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস ২১১ রানে থামিয়ে দিয়েছে তারা। সর্বোচ্চ ৭৪ রান করেছেন তামিম। শর্ট বলে ভয়ংকর হয়ে উঠেছিলেন নেইল ওয়াগনার। ২৮ রান দেওয়া এই পেসারের শিকার ৪টি। হ্যামিল্টন টেস্টেও শর্ট বলের দিয়েই ওয়াগনার ৫ উইকেট নিয়েছিলেন। শর্ট বলই ওয়াগনারের প্রধান অস্ত্র জানা থাকার পরেও কেন সামলানো যাচ্ছে না তাকে? জবাবে লিটন দাস বললেন মনযোগের ঘাটতির কথা।
তরুণ এই ব্যাটসম্যান দিনের খেলা শেষে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা জানি নতুন বলে সুইং করবে, এরপরও আমরা অনেক সময় মারতে গিয়ে আউট হয়ে যাই। তেমনি আমরা জানি সে শর্ট বল করবে। কিন্তু বলটা এমন জায়গায় রাখে, কিছু করার থাকে না। এখানে মনোযোগ আরও বাড়িয়ে বল আরও বেশি ছাড়লে হয়তো কিছু করা যাবে।’
দলের ব্যাটসম্যানদের আউট হওয়ার পেছনের কারণ হিসেবে মনযোগের ঘাটতিকেই প্রধান কারণ মনে করছেন লিটন। তার কথায় সেটা পরিস্কার হয়ে উঠেছে, ‘উইকেট ভয়ঙ্কর বলব না। তবে কন্ডিশন তো বোলারদের পক্ষে ছিল। এ রকম কন্ডিশনে ব্যাটসম্যানের ফোকাস ভালো থাকলে সফল হওয়ার সুযোগ বেশি থাকে। তামিম ভাই ফোকাসড ছিলেন, সফল হয়েছেন। দুই দিন খেলা হয়নি। তারপর খুব ভালো একটি শুরু পেয়েছিলাম আমরা। যে রকম শুরু হয়েছিল, আরেকটু ভালো করা যেত। ব্যাটসম্যানরা আরেকটু মনোযোগ দিয়ে খেললে আরও ভালো হতো।’