সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৪১ পূর্বাহ্ন
অন্তর রায় প্রিন্স, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : প্রতিবছরের ন্যায় এবারও ঠাকুরগাঁওয়ের জলেশ্বরীতলায় আয়োজন করা
হয় হিন্দুধর্মালম্বীদের চড়ক পুজার।এ পুজার প্রধান আকর্ষণ হলো পিঠে কাঁটা(লোহার বড়শি) বিধে শুন্যে ঘোরা।
রবিবার(২২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সেখানে পিঠে কাঁটা বিধিয়ে শূন্যে ভাসলেন রমেশ চন্দ্র রায়(৫০)। এসময় হাজার
হাজার দর্শনার্থী উপস্থিত হয়ে উপভোগ করেন তার এ শুন্যে ভেসে থাকা।
ঠাকুরগাঁও রুহিয়া থানার রামনাথ হাটের রমেশ দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে চড়ক পূজা উপলক্ষে জেলার বিভিন্ন জায়গায়
গঙ্গাদেবীর পূজা সেরে পিঠে কাটা বিঁধিয়ে দীর্ঘ সময় শূন্যে ঘুরেন।
চড়ক পূজা শেষে কথা হয় রমেশের সাথে।তিনি জানান,ছোট কাল থেকেই তার এই নেশা।নেশাটাই এখন পেশার
মতো হয়ে গেছে।মানুষকে আনন্দ দিতে ভালোবাসেন তিনি।হাজার হাজার মানুষের সামনে শূন্যে ভেসে তিনিও
আনন্দ পান।যখন সব মানুষ শুধু তার দিকেই তাকিয়ে থাকে তখন একটা অন্যরকম তৃপ্তি অনুভব করেন তিনি।
পূজা শেষে পিঠ ক্ষত হয়ে থাকলেও তার তেমন কোন অসুবিধা হয়না।কিছুদিনের মাথায় ক্ষত শুকিয়ে যায় তবুও
দাগ থেকে যায়।আবার বছর ঘুরতেই সেই চড়ক পূজা।
চড়ক পূজার অন্যতম আয়োজক সুকুমার দাস জানান,দীর্ঘ প্রায় ৮-৯ বছর ধরে তারা টাঙ্গন নদীর পশ্চিম পার্শ্বে
জলেশ্বরী তলায় এই পূজার আয়োজন করে আসছেন।অনেক ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে রমেশ চন্দ্র শূন্যে ঘুরলেও রমেশ
কিংবা আয়োজক কমিটি কোন রকম সরকারি অনুদান পাননা। তিনি আরও বলেন,সরকারি অনুদান পেলে তারা
আরও বৃহৎ পরিসরে চড়ক পূজার অনুষ্ঠান আয়োজন করতে পারবেন।