শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৩ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: লক্ষ্মীপুরে বিচিত্রা কর নামে এক প্রসূতির অপারেশনের সময় জরায়ু কাটায় মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে হসপিটাল ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেন স্বজনরা। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে শহরের উপশম (প্রা:) হসপিটালে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ এসে হসপিটালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জামায়াত নেতা সাইফুদ্দিনকে আটক করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
নিহতের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। নিহত বিচিত্রা পৌর শহরের শাখারী পাড়া এলাকার বাবলু করের স্ত্রী।
পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানায়, সকালে প্রসব জনিত কারণে বিচিত্রাকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে হাসপাতালটির গাইনী বিশেষজ্ঞ ডা. বসাক কুমারের নির্দেশে তাকে উপশম প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বিকালে ওই চিকিৎসক বিচিত্রা করকে সিজারের মাধ্যমে মেয়ে সন্তান প্রসব করান। সন্ধ্যায় প্রসূতির পেটে ব্যথা অনুভব হলে আবারো তাকে রাত ৯টার দিকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়। অপারেশনে কেটে ফেলা হয় তার জরায়ু। পরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে রোগীর মৃত্যু হয়।
এদিকে সিজারের রোগীর জরায়ু কেটে ফেলার ঘটনাকে স্বজনরা ভুল চিকিৎসা দাবি করে রোগীর মৃত্যুর প্রতিবাদ জানায়। এ সময় খবর পেয়ে স্বজনরা হাসপাতাল ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেন। অভিযুক্ত চিকিৎসক আত্মগোপন করে আর কর্তৃপক্ষ হাসপাতালের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে সাংবাদিকদের সংবাদ সংগ্রহে বাধা দেন।
হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. কাউছার রোগীর মৃত্যুকে স্বাভাবিক ঘটনা হিসেবে আখ্যায়িত করলেও তিনি বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ লোকমান হোসেন জানান, ভুল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর ঘটনায় হাসপাতালের এমডিকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, উপশম হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় ও কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় প্রায়ই রোগীর মৃত্যু হয়। এসব ঘটনায় একাধিকবার হাসপাতালটি ভাঙচুর ও জরিমানা দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।