রবিবার, ১৫ Jun ২০২৫, ০১:০২ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
ভোলায় ঈদ উপহার খাসি না পাঠানোয় মেয়েকে নির্যাতন, শঙ্কায় বৃদ্ধা মা আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিএনপি নেতা আব্দুল লতিফ সম্রাটের ওপর নড়াইলে সন্ত্রাসী হামলা: বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি অধ্যাপক বি.এম. নাগিব হোসেনের ‘কিংস চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ড’ গ্রহণ করলেন প্রধান উপদেষ্টা তারেক রহমানের দেশে ফিরতে কোনো বাধা নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাল টাকায় গরু বিক্রি করা সেই বৃদ্ধকে ওমরাহ করাতে চান অপু বিশ্বাস হাইওয়ে পুলিশের ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন কৃষি জমিতে বিলবোর্ড অপসারণের নির্দেশ উপদেষ্টার বেলকুচিতে বাইক কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত খুলনায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২, আহত ৪ গুম এবং চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে সকল শহীদ পরিবারের পাশে রয়েছে বিএনপি: আমিনুল হক
জন্মভূমি থেকে বিতাড়িত ডোনাল্ড ট্রাম্পের দাদা

জন্মভূমি থেকে বিতাড়িত ডোনাল্ড ট্রাম্পের দাদা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভাগ্যের সন্ধানে কিশোর বয়সেই জন্মভূমি বাভেরিয়ায় (বর্তমানে জার্মানি) ছেড়ে আমেরিকায় এসেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের দাদা ফ্রেডরিক ট্রাম্প। সেখানে এসেই শুরু করেন নাপিতের কাজ। তারপরে রেস্তরাঁর ব্যবসা। একের পরে এক ব্যবসায় ভাগ্য খুলতে থাকে তার। কিন্তু আমেরিকায় আবহাওয়ার সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারছিলেন না তার স্ত্রী। সে কারণে ১৯০৫ সালে স্ত্রী-মেয়েকে নিয়ে আবারো জন্মভূমিতে ফিরে যান ফ্রেডরিক। কিন্তু জন্মভূমি বাভেরিয়া তখন তাকে জায়গা দিতে রাজি হয়নি।

এদিকে তরুণদের একটা নির্দিষ্ট মেয়াদ সামরিক বাহিনীতে কাজ করাটা বাভেরিয়ায় বাধ্যতামূলক ছিল সে সময়। ফ্রেডরিক যা করেননি। এই কারণে বাভেরিয়া ছেড়ে চলে যেতে বলা হয় তাকে। সে সময় দেশে থেকে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে ‘প্রিন্স রিজেন্ট অব বাভারিয়া’-কে একটি চিঠি লিখেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্টের দাদা। তার ছত্রে ছত্রে বিতাড়িত হওয়ার যে যন্ত্রণার কথা তিনি লিখেছিলেন, তার নাতির অভিবাসন নীতির কারণে বর্তমান আমেরিকায় ঠিক সেই-রকম দুর্দশাতেই পড়তে হচ্ছে অভিবাসীদের। জার্মানে লেখা ফ্রেডরিক ট্রাম্পের ওই চিঠির ইংরেজি অনুবাদ সম্প্রতি হার্পাস পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।
বাভেরিয়া ছাড়ার জন্য ফ্রেডরিককে আট সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছিল। থেকে যেতে মরিয়া হয়ে তিনি মিনতি করে লেখেন, ‘বাভেরিয়া ছাড়ার নির্দেশটা আমাদের কাছে বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো।’ এতে যে একটা পরিবারকে কী রকম দুর্দশার মধ্যে পড়তে হয়, তার বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে ফ্রেডরিক লিখেছিলেন, ‘সৎ নাগরিকদের কাছে এটা অত্যন্ত দুঃখের।’ তবে ওই চিঠিতে কাজ হয়নি। বাভেরিয়া ছেড়ে বেরিয়েই আসতে হয় তাকে। নিউ ইয়র্কে এসে থিতু হয় তার পরিবার।

হালের জার্মানি অবশ্য সিরিয়ার বিপুল শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে। আর ফ্রেডরিকের নাতির জমানায় আমেরিকায় চলছে অভিবাসী বিতাড়নের অভিযান। চলতি মাসেই ৬৫০ জন অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। এর মধ্যে ৫২০ জনের বিরুদ্ধে কোনো অপরাধমূলক অভিযোগ নেই। ট্রাম্পের স্ত্রী মেলানিয়াও অভিবাসী। তাকেও কি বিদায় করা হবে, প্রশ্ন তুলেছেন ট্রাম্পের কট্টর সমালোচকেরা।

সূত্র: আনন্দবাজার।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com