শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৪৪ অপরাহ্ন
ভিশন বাংলা ডেস্ক: বাংলা একাডেমি ও একুশে পদকপ্রাপ্ত সাহিত্যিক রিজিয়া রহমান আর নেই।
শুক্রবার (১৬ আগস্ট) সকাল ১১টার দিকে রাজধানী অ্যাপোলো হাসপাতালে মারা যান এ কথাসাহিত্যিক। ক্যান্সার, কিডনি সমস্যাসহ শারীরিক নানা সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি।
রিজিয়া রহমান ১৯৩৯ সালে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪৭ সালে দেশবিভাগের পর পরিবারের সঙ্গে বাংলাদেশে চলে আসেন। লেখালেখির শুরু ষাটের দশকে। গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ, রম্যরচনা ও শিশুসাহিত্যে তার রয়েছে উল্লেখযোগ্য অবদান।
সাহিত্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিচরণ করলেও তার মূল পরিচিতি ঔপন্যাসিক হিসেবেই। তার লেখা উপন্যাসগুলোর মধ্যে রয়েছে- ঘর ভাঙা ঘর, উত্তর পুরুষ, রক্তের অক্ষর, বং থেকে বাংলা, অরণ্যের কাছে, অলিখিত উপাখ্যান, শিলায় শিলায় আগুন, ধবল জোত্স্না, সূর্য সবুজ রক্ত, একাল চিরকাল, ঝড়ের মুখোমুখি, প্রেম আমার প্রেম, সবুজ পাহাড়, একটি ফুলের জন্য, শুধু তোমাদের জন্য, হে মানব মানবী, হারুন ফেরেনি, বাঘবন্দী, আবে-রওয়াঁ, সুপ্রভাত সোনালি দিন, অতলান্ত নীল, অন্ধকারে বেতোফেন, উৎসে ফেরা, আলবুর্জের বাজ, পবিত্র নারীরা, সীতা পাহাড়ে আগুন, নিঃশব্দ শব্দের খোঁজে, তৃণভূমির বাইসন, ডাইম নিকেল, প্রজাপতি নিবন্ধন, প্রাচীন নগরীতে যাত্রা, চন্দ্রাহত, বান্ধবী প্রিয়দর্শিনী ও অন্যান্য, বান্ধবী প্রিয়দর্শিনী, জ্যোৎস্নার নীল সীমানা, জগৎ জুড়িয়া কান্দে।
অগ্নিস্বাক্ষরা, নির্বাচিত গল্প, চার দশকের গল্প এবং দূরে কোথাও তার প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ। অনুবাদ সাহিত্যে তিনি লিখেন- সোনালী গরাদ, Caged in Paradise and Other Stories। তার আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থের মধ্যে আছে- অভিবাসী আমি ও নদী নিরবধি। খাওয়া-খায়ির বাঙালি তার রম্যগ্রন্থ। শিশুসাহিত্য বিষয়ক গ্রন্থের মধ্যে আছে আজব ঘড়ির দেশে, ঝিলিমিলি তারা এবং মতিশীলের বাড়ি ও অন্যান্য ও গল্প।
রিজিয়া রহমান উপন্যাসে অবদানের জন্য ১৯৭৮ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অবদানের জন্য পরে তাকে একুশে পদকে ভূষিত করা হয়।