বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৮ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সদস্য হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা খ. ম. আমীর আলী ছাত্র বৈষম্য আন্দোলনে আহতদের জন্য আর্থিক সহায়তা নিয়ে পাশে বিএনপি নেতা মোঃ সাইফুল ইসলাম নরসিংদীর মনোহরদীতে প্রথমবারের মতো বিজ্ঞানক্লাব ‘নেবুলাস’-এর যাত্রা শুরু প্রথমবারের মতো সচিবালয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস গার্মেন্টস ব্যবসায়িদের নিঃস্ব করে কোটি টাকা প্রতারণা করে লাপাত্তা কৃষক লীগ নেতা হান্নান শেখ! টাকার বিনিময়ে বিদ্যুতের তার খাম্বা মিটার এনে দেন ইলেকট্রিশিয়ান জুলিয়ান! নবান্ন উৎসব ঘিরে জমে উঠেছে কালাইয়ে মাছের মেলা কটিয়াদীতে উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষকদের সম্বর্ধনা জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত না-হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকতে হবে: রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু কেমুসাস সাহিত্য পুরস্কার পেলেন সব্যসাচী লেখক মীর লিয়াকত আলী
কবিতা সবাইকে শান্তি, কল্যাণে উজ্জীবিত করে

কবিতা সবাইকে শান্তি, কল্যাণে উজ্জীবিত করে

জাতীয় কবিতা উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্থপতি ও কবি রবিউল হুসাইন বলেন, কবিতা মানুষের প্রতিধ্বনি, মানুষ ও কবিতার প্রতিভূ। কবিতা স্বপ্ন, সংগ্রাম, ভালোবাসা, জীবন ও বাস্তবতার ভাষ্যরূপ দেয়।
তিনি বলেন, বিভিন্নভাবে মানুষ ও দেশকে বিভক্ত করা হয়, তার বিপরীতে কবিতা সবাইকে শান্তি ও কল্যাণে এবং শ্রেয়বোধে উজ্জীবিত করে।রোহিঙ্গাসহ বিশ্বের বাস্তুহারা ও দেশহারা মানুষের পক্ষে একাত্বতা প্রকাশ করে কবি রবিউল হুসাইন বলেন, দেশহারা মানুষের সংগ্রামে কবিতাই পারে মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করতে।
কবি রবিউল হুসাইন আজ সকালে জাতীয় কবিতা পরিষদ আয়োজিত দু’দিনব্যাপী জাতীয় কবিতা উৎসব-২০১৮’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উৎসব পরিষদের আহবায়কের ভাষণে এ কথা বলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় লাইব্রেরী চত্বরে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি কবি মুহম্মদ সামাদ সভাপতিত্ব করেন। প্রধান অতিথি কবি আসাদ চৌধুরী উৎসব পতাকা উত্তোলন করে উৎসব উদ্বোধন করেন। এ সময় অন্যান্য কবিরা জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। ঘোষণাপত্র পাঠ করেন কবি শিহাব সরকার। পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তারিক সুজাতও এতে বক্তব্য রাখেন। উৎসবমঞ্চে কয়েকজন বিদেশী কবি উপস্থিত ছিলেন। উৎসবের মূল স্লোগান হচ্ছে ‘দেশহারা মানুষের সংগ্রামে কবিতা’।
সকাল দশটায় উৎসব প্রাঙ্গণ থেকে কবিদের র‌্যালি শুরু হয়। জাতীয় কবি নজরুল ইসলাম ,শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের সমাধিতে এবং কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে কবিরা শ্রদ্ধা নিবেদনের পর র‌্যালি পুনরায় উৎসব প্রাঙ্গণে ফিরে আসে। পরে আবদুল গাফফার চৌধুরীর লেখা মহান একুশের গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, জাতীয় সংগীত ও কবি মহাদেব সাহার লেখা উৎসব সংগীত ‘কবিতা জেগেছে বাংলার পথে পথে, জেগেছে নগরে গ্রামে’ পরিবেশন করা হয়। গানটির সুর করেছেন শিল্পী ফকির আলমগীর। তিনি উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশনায় নেতৃত্ব দেন। এতে অংশ নেন ঋষিজ, বাংলাদেশ উদীচী শিল্পগোষ্ঠীসহ পনেরটি সংগঠনের শিল্পীরা।
কবি আসাদ চৌধুরী বলেন, বাঙালি সাহিত্য-সংস্কৃতির উন্নয়ন এবং শৃংখল মুক্তির স্বপ্নের সঙ্গে স্বৈরাচার, সাম্প্রদায়িকতা, জঙ্গিবাদ নির্মূল করে কবিতার মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণের জন্য কবিরা এই সংগঠন গড়ে তুলেছেন।
উৎসবের প্রথম দিনে আরো ছিলো মুক্ত আলোচনা, চার পর্বে কবিতা পাঠ, আবৃত্তির অনুষ্ঠান। আগামীকাল দ্বিতীয় দিনে উৎসবের কার্যক্রম শুরু হবে সকাল ১১টায় ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ও আমাদের কবিতা ’শীর্ষক সেমিনার মাধ্যমে। পরে রয়েছে আরো একটি সেমিনার, পাঁচ পর্বে কবিতা পাঠ, পুরস্কার ঘোষণা ও কবিতার গান।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com