সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৪ অপরাহ্ন
প্রত্যন্ত অঞ্চলে শিক্ষার আলো ছড়াচেছ সুলতানপুর উচ্চ বিদ্যালয়। যে গ্রামে খোজ করে ৪/৫ জন এসএসি পাশ লোক খোজে পাওয়া যেত না সে গ্রামে এখন প্রতিটি ঘরে ঘরে জ¦লছে শিক্ষার আলো। ওই এলাকার সুলতানপুর, দিঘিরপাড়, হরিশ্যামা, দূর্গাপুর সহ ৭/৮টি গ্রামের ছেলে মেয়েরা যখন পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করে ঝড়ে যা্িচছল শিক্ষার প্রসার ঘটাতে এগিয়ে আসেন এক জনপ্রতিনিধি। তখন ওই এলাকার বায়োজৈষ্ঠ্য কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় একটি উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার। ২০১১ সালে এভাবে যাত্রা শুরু হয় সুলতানপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের। টিন শেডের একটি ঘর তুলে এলাকার কিছু শিক্ষিত তরুণদের দিয়ে বিদ্যালয়ের পাঠদান শুরু হয়। প্রথমে ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি হয় মাত্র ১১ জন শিক্ষার্থী। হরিশ্যামা গ্রামের নবম শ্রেনীর শিক্ষার্থী আখি রানি পাল জানান, তার বাবা একজন সামান্য কৃষক। উপজেলা সদরে গিয়ে তাদের পক্ষে লেখাপড়া করা সম্ভব ছিল না। কিন্তু এখন নিজ গ্রামে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় সহজেই লেখাপড়া করছে। এ বছর বিদ্যালয়টি এমপিও ভুক্ত হয়েছে। সুলতানপুর গ্রামের সাবেক মেম্বার (ইউপি সদস্য) আব্দুর রহমান চৌধুরী জানান, এক সময় ওই এলাকার ছেলে মেয়েরা লেখাপড়ার পরিবর্তে মা বাবার সাথে কাজ করত। কেউ বিদ্যালয়ে যাওয়ার চিন্তা করেনি। এখন বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার কারণে ছেলে মেয়েরা সহজেই বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করতে পারছে।
সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুর রহমানের উদ্যোগে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করা হয়। বড় কথা হচ্ছে নারী শিক্ষায় বিদ্যালয়টি অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। পিছিয়ে পড়া জনপদ থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে উপজেলা সদরে গিয়ে লেখাপড়া করা ছেলে মেয়েদের কোন অবস্থাতেই সম্ভব ছিল না। বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সাবেক ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আলহাজ¦ আতিকুর রহমান জানান, এই এলাকার ৮/১০ কিলোমিটারের ভিতর কোন উচ্চ বিদ্যালয় ছিল না। এই এলাকাটি ছিল অত্যন্ত অবহেলিত। পঞ্চম শ্রেণী পাশ করার পর এই এলাকার মেয়েরা পড়ালেখা ছেড়ে দিত। সকল উন্নয়নের মূল হচ্ছে শিক্ষিত জনগোষ্ঠী। তাই ওই এলাকার ছেলে মেয়েদের লেখাপড়ার সুবিধার্থে ২০১১ সালে ১ একর ৯১ শতক জায়গা কিনে স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হয়। একটি টিনশেড ঘর তৈরি করে পাঠদান শুরু করা হয়। মাধবপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল হোসেন জানান, প্রত্যন্ত অঞ্চলের এই বিদ্যালয়টি এখন আলো ছড়াচেছ। তবে বিদ্যালয়টিতে এখন ভবনের প্রয়োজন।
মাধবপুর (হবিগঞ্জ) থেকে মোঃ নজরুল ইসলাম খান