রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:২৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
কুড়িগ্রামে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মানব বন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা। রাজধানীর বাড্ডায় ইডরার সাবেক চেয়ারম্যানের প্রতিষ্ঠানে সাংবাদিকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা ফারইস্ট লাইফের আত্মসাতকৃত টাকা উদ্ধার ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন নতুন পে-স্কেল বাস্তবায়ন, অর্থের চাপ মেটাতে কী ভাবছে সরকার আসছে চার দেশের বিশেষজ্ঞ টিম কার্গো ভিলেজের আগুনের ঘটনা তদন্তে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা প্রগতি ইন্স্যুরেন্সের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে ইলিশ শিকারে শরণখোলার জেলেরা গাজায় ক্ষুধা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে: ডব্লিউএইচও আগে থেকেই একসাথে বসবাস শুরু করছে যুক্তরাষ্ট্রের যুগলরা সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য আরও একটি লম্বা ছুটি আসছে

খালেদা জিয়া’র জন্যই পরিত্যক্ত কারাগারটি আবারো সচল হলো!

ভিশন বাংলা ২৪ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮
  • ৪৯৮

ঢাকার পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারের সব বন্দীকে ২০১৬ সালের ২৯ জুলাই কেরানীগঞ্জের নতুন কারাগারে নেওয়ার পর সাত হাজার বন্দী ধারণক্ষমতার কারাগারটি ফাঁকা কায়েদীশূণ্য হয়ে পড়ে। ফলে প্রায় ১৭ একরের কারাগারটিতে জাদুঘর, বিনোদনকেন্দ্র ও উন্মুক্ত স্থান করার উদ্যোগ নেয় সরকার। কিন্তু খালেদা জিয়াকে দূর্নীতি মামলার আসামী করে সেখানে অন্তরীণ রাখায় পরিত্যক্ত কারাগারটি আবারো সচল হলো। নিস্তব্দ, পরিত্যক্ত ও নির্জন এই  কারাগারে খালেদা জিয়াই একমাত্র বন্দী।

তবে খালেদা জিয়া কারাগারের একমাত্র বন্দী হলেও ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দী হিসেবে খালেদা জিয়া সুবিধা পাবেন। জেলকোড অনুসারে খালেদা জিয়া খাবার পাবেন। ৩৬ বছরের রাজনৈতিক জীবনে খালেদা জিয়ার এটি দ্বিতীয় কারাবাস।

উঁচু লাল দেয়ালঘেরা কারাগারটির সামনে বিশাল ফটক। মূল সেই ফটক দিয়ে ঢোকার পর পার হতে হয় আরও একটি তোরণ। এই পরিসরের মধ্যেই ছিল ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডে কারাগারের প্রশাসনিক ভবন। ভবনটি আগে সরগরম ছিল কারাগার প্রশাসকদের কর্মচঞ্চলতায়। পরিত্যক্ত কারাগারের নির্জন এই ভবনে আজ ঠাঁই হলো বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজা হলে খালেদা জিয়াকে কোথায় রাখা হবে, তা নিয়ে বেশ কয়েক দিন ধরেই প্রস্তুতি চলছিল। প্রথমে ভাবা হয়েছিল, তাঁকে কাশিমপুরে কেন্দ্রীয় নারী কারাগারে (কাশিমপুর-৩) রাখা হবে। তবে কাশিমপুর থেকে ঢাকার আদালতে আনা-নেওয়া বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। এরপর ভাবা হয় নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারের কথা।

নাজিমুদ্দিন রোডে রাখার সিদ্ধান্ত হওয়ার পরই শুরু হয় ঘরগুলো ধোয়ামোছার কাজ। প্রধান ফটকের পর কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক যে কক্ষটিতেই বসতেন, সেই ঘরটিতেই খালেদা জিয়ার থাকার ব্যবস্থা করা হয়। বাথরুমসহ বড় কক্ষে তাঁর থাকার জন্য খাট ও অন্যান্য জিনিসপত্র এক দিন আগেই আনা হয়েছে। ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দী হিসেবে খালেদা জিয়া এসব সুবিধা পাবেন।

কারা প্রশাসনের ঢাকা বিভাগের উপমহাপরিদর্শক তৌহিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, জেলকোড অনুসারে প্রথম শ্রেণির বন্দীর সব সুবিধা তাঁকে দেওয়া হচ্ছে।

সূত্র জানায়, কারাগারে প্রথম শ্রেণির বন্দী যেসব সুবিধা পান, তার মধ্যে রয়েছে খাটসহ বিছানা, মশারি, চেয়ার-টেবিল, একটি দৈনিক পত্রিকা ও একজন কাজের মানুষ। এর পাশাপাশি জেলকোড অনুসারে তিনি খাবার পাবেন। সঙ্গে একজন গৃহকর্মী নেওয়ার আবেদন করেছেন খালেদার আইনজীবী। তবে কারাগার এখনো সে আদেশ পায়নি। খালেদা জিয়ার একজন আইনজীবী বলেছেন, একজন গৃহকর্মী খালেদার সঙ্গে আছেন।

বেলা দুইটার দিকে খালেদাকে কারাগারে নেওয়া হয়। সেখানে আসার পর খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন একজন নারী চিকিৎসক। জেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, খালেদা জিয়ার প্রেশার ঠিক আছে। তাঁর স্বাস্থ্যগত কোনো বড় সমস্যা নেই। তিনি স্বাভাবিক খাওয়াদাওয়া করছেন।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2011-2025 VisionBangla24.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com