সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৩ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
হরিপুরে গ্রামবাংলার ঝোপঝাড় হতে বিলুপ্তির পথে কুচফল ওয়াজের মাঠ কাপানো আর নারীদের খাট কাপানো হুজুর মুফতি মুহাম্মদ শফিকুজ্জামান দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় ৮০০ নেতার বিরুদ্ধে বিভিন্ন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে: রিজভী নির্বাচন কবে, সেই ঘোষণা হবে প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকেই : প্রেস উইং মোহাম্মদপুরে সন্ত্রাসী রহিম ও তার ছেলের অত্যাচার নির্যাতনে অসহায় এলাকাবাসী উত্তরা ব্যাংকের এমডি রবিউল হোসেনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও অপসারনের দাবিতে রাজপথে বিল্পবী ছাত্র জনতা ইসরায়েলি বর্বর হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়াকে দেখে কেঁদে ফেললেন মির্জা ফখরুল সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে ওসমানী জাতীয় স্মৃতি পরিষদ-এর বিশেষ বাণী জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সদস্য হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা খ. ম. আমীর আলী
তিস্তায় পানি কমলেও, কমেনি তিস্তাপাড়ের মানুষের কষ্ট

তিস্তায় পানি কমলেও, কমেনি তিস্তাপাড়ের মানুষের কষ্ট

ইব্রাহিম সুজন, স্টাফ রিপোর্টার, তিস্তা থেকে ফিরে:

নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার নদীর
পানি কমলেও, তিস্তা বেষ্ঠিত এলাকাগুলিতে বিন্দু মাত্রও কমেনি কষ্ট। টানা
পানিবন্দীতে রয়েছেন ডিমলা উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের হাজার হাজার পরিবার।
খাবারসহ বিশুদ্ধ পানিরও সংকট দেখা দিয়েছে।
গত ৩০ বছরের রেকর্ড ভঙ্গ করে বিপদসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি
প্রবাহিত হয়ে তিস্তা বেষ্ঠিত নিম্নাঞ্চলগুলি প্লাবিত। তিস্তা নদীর বন্যা
পরিস্থিতির উন্নতি হলেও নদীবেষ্টিত গ্রাম,চরগ্রাম ও দ্বীপচরগুলোর
নিম্নাঞ্চল থেকে এখনও পানি পুরোপুরি নেমে যায়নি। ফলে বানভাসী ও বসতঘর
হারা পরিবারগুলো চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
সূত্র জানায়, সরকারি হিসাব মতে ডিমলা উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের গত দুইদিনের
বন্যায় ছয় হাজার ২৭০টি পরিবার বন্যা কবলিত হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
পাশাপাশি নদীগর্ভে বিলিন হয়েছে ১৪৭টি পরিবারের বসতভিটা।
উপজেলার ছাতনাই গ্রামের বানভাসি আব্দুল খালেক (৫২) জানান, “উজানের পানি
বাড়লে তিস্তার পানি বেড়ে যায়। নিমিষেই তলিয়ে যায় এলাকার শত শত গ্রাম।
রক্ষা করা যায় না বাস্তুভিটা, ঘর-বাড়ি, গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি, ফসল,
বীজতলা ও শত শত একর আয়তনের পুকুরের মাছ”।
তিনি আরো জানান, “তিস্তার ভয়াবহ বন্যার শিকার পরিবারগুলো চুলা জ্বালিয়ে
রান্না করতে পারছেনা বলে জানান জনপ্রতিনিধিরা। তারা শুকনো খাবার খেয়ে দিন
কাটাচ্ছে। গবাদিপশু খাদ্য এবং বিশুদ্ধ পানিরও সংকট দেখা দিয়েছে। বিশেষ
করে ফসলি জমিগুলো তলিয়ে থাকায় আমনধানের চারাগুলো নস্ট হচ্ছে”।
টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মঈনুল হক জানান, “চরখড়িবাড়ি,
পূর্বখড়িবাড়ী তার এলাকায় ২৪ পরিবারের বসতঘর তিস্তায় বিলিন হয়েছে”।
সরে জমিনে চরখড়িবাড়ী, টেপাখড়িবাড়ী, বাইশপুকুরসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের
পানিবন্দী এলাকায় গেলে, বানভাসীরা জানান, “রান্না করে খেতে পারছেনা।
তাদের মাঝে পর্যাপ্ত পরিমান শুকনা খাবার বিতরন জরুরী হয়ে পড়েছে”।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়শ্রী রানী রায় জানান, “বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত
পরিবারগুলোর জন্য নতুন করে সরকারী ভাবে ১১০ মেট্রিকটন চাল, নগদ ১ লাখ
টাকা ও এক হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার বরাদ্দ পাওয়া গেছে। দ্রুততার সঙ্গে
ওই পরিবারগুলোর মাঝে ত্রাণ বিতরনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়া যে ১৪৭ টি
পরিবারের বসতঘর নদী গর্ভে বিলিন হয়েছে তাদের নগদ দুই হাজার করে টাকা
প্রদান করা হবে”।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com