শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৮ পূর্বাহ্ন
ক্রীড়া ডেস্ক: পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার দানিশ কানেরিয়া দাবি করেছিলেন, তিনি হিন্দু ধর্মাবলম্বী বলেই তার সঙ্গে সতীর্থ ক্রিকেটাররা এক টেবিলে বসে খাবার খেতেন না। ক্রিকেট জীবনে তাকে অনেক অবমাননার শিকার হতে হয়েছে। আর হিন্দু ধর্মালম্বী বলে তাকে পাকিস্তানে তাকে অনেক অপমান সহ্য করতে হয়েছে। আরও একবার পাকিস্তানের এই ক্রিকেটার দাবি করেছেন, তিনি হিন্দু বলেই তার উপর সবরকম আইন ফলানো হচ্ছে।
সম্প্রতি উমর আকমলের শাস্তির মেয়াদ কমিয়েছে পিসিবি। পিসিবির দুর্নীতিবিরোধী কোড ভঙ্গ করায় তাকে ৩ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। আপিলের পর সেই শাস্তির মেয়াদ কমিয়ে ১৮ মাস করা হয়েছে। এতএই চটেছেন কানেরিয়া। তিনি বলেছেন, ‘যত আইন তাহলে আমার জন্যই! আমার জন্যই শুধুমাত্র জিরো টলারেন্স পলিসি থাকবে! বাকিদের জন্য আলাদা পলিসি! কেউ বলতে পারবে কেন আমাকেই শুধুমাত্র আজীবনের জন্য নির্বাসনে পাঠানো হলো? কেন অন্যদেরও একই দোষে আজীবন নির্বাসনের শাস্তি দেওয়া হলো না? পলিসি কি জাত, গায়ের রং ও ক্ষমতা দেখে করা হয়! আমি একজন হিন্দু। এজন্য আমি গর্বিত।’
কানোরিয়াকে নিয়ে এই বিদ্বেষের বিতর্কটা শুরু করেছিলেন শোয়েব আখতার। এরপর কানোরিয়া অনেকবার কানেরিয়া তার উপর হওয়া অবিচার নিয়ে সরব হয়েছিলেন। তবে পিসিবি তার কথায় কান দেয়নি। ক্রিকেটার হিসাবে ফেরার আর সুযোগ নেই তার। কানেরিয়া কোচ ও ধারাভাষ্যকার হিসাবে ফিরতে চান। তাছাড়া তার বর্তমান আর্থিক অবস্থা ভালো নয়। এরপরেও পিসিবি বলছে, তার নির্বাসনের শাস্তি কমানো হবে না। সেক্ষেত্রে কানেরিয়াকে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) কাছে আবেদন করতে হবে। কারণ ইংল্যান্ডে স্পট ফিক্সিং করায় তিনি নির্বাসিত হয়েছিলেন। যদিও ইংল্যান্ডে মোহাম্মদ আমিরও ফিক্সিং করে ধরা খেয়ে সাজা ভোগ করে আবার মাঠে ফিরেছেন। তবে কানোরিয়ার ক্ষেত্রে তা হয়নি।