শুক্রবার, ১২ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৩০ পূর্বাহ্ন

রোহিঙ্গাদের গোলাগুলি, নিহত ৪, আহত ৫০

রোহিঙ্গাদের গোলাগুলি, নিহত ৪, আহত ৫০

ডেস্ক রিপোর্ট: কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং শিবিরে ফের অস্ত্রধারী রোহিঙ্গাদের সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছে। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছে অর্ধশতাধিক। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত এই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। কক্সবাজার জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম চারজন নিহতের খবর নিশ্চিত করেছেন। তবে গোলাগুলিতে হতাহতের সংখ্যা আরো বেশি বলে আশঙ্কা করেন স্থানীয় লোকজন।

নিহতদের মধ্যে মুন্না বাহিনীর প্রধান রোহিঙ্গা মুন্নার দুই ভাই মোহাম্মদুল্লাহ ও গিয়াসুদ্দিনও রয়েছেন। কিছুদিন ধরে নতুন ও পুরনো রোহিঙ্গাদের মধ্যে সংঘাত চলছিল। তাদের এক গ্রুপে মুন্না বাহিনী এবং অন্য গ্রুপে আনাস বাহিনী নেতৃত্ব দিচ্ছে। গত ছয় দিনে দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে এক নারীসহ আট রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে।

গতকাল সন্ধ্যার পরপরই কুতুপালং লম্বাশিয়া এলাকায় গোলাগুলি শুরু হয়। এর পরপরই শিবিরের শত শত রোহিঙ্গা নিজেদের বস্তি ছেড়ে পালিয়ে যেত শুরু করে। শিবির ছেড়ে রোহিঙ্গারা পালিয়ে ভিড় করছে স্থানীয় গ্রাম এলাকায়। গোলাগুলির কারণে নিরাপত্তার জন্য প্রশাসন কুতুপালং ২ নম্বর শিবিরের দুই শতাধিক পরিবারের রোহিঙ্গাদের পাশের শিবিরে সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু করেছে।

এদিকে নিবন্ধিত পুরনো রোহিঙ্গাদের শিবিরে নতুন রোহিঙ্গাদের হামলার শঙ্কায় নিবন্ধিত রোহিঙ্গারাও যে যেদিকে পারছে পালিয়ে যাচ্ছে। শিবিরসংলগ্ন স্থানীয় গ্রামবাসীও গোলাগুলির পর নিরাপত্তাজনিত কারণে এলাকা ছাড়ছে। শত শত অস্ত্রধারী রোহিঙ্গা একে অন্যকে ধাওয়া দিচ্ছে। শিবিরগুলোর রাস্তায় রাস্তায় অস্ত্রধারী রোহিঙ্গারা ওত পেতে থেকে পালিয়ে যাওয়া প্রতিপক্ষ রোহিঙ্গাদের ওপর হামলা করছে।

উখিয়া থানার ওসি আহমেদ সনজুর মোর্শেদ রাত সাড়ে ১০টার দিকে কালের কণ্ঠকে বলেন, এই মুহূর্তে ক্যাম্পের পরিস্থিতি শান্ত। চারজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গত রাতে বাহিনীপ্রধান মুন্নার বাবাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com