মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৪৯ পূর্বাহ্ন
চাঁদ নিয়ে আরও এক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ করলেন বিজ্ঞানীরা৷ ভারতের চন্দ্রায়ন-১ ও নাসার লুনার রেকোনাইস্যান্স অর্বিটার এই তথ্য প্রকাশ করেছে৷
তারা জানিয়েছে, চাঁদের পানি নির্দিষ্ট কোনও জায়গায় জমা নেই৷ সম্ভবত তা সমগ্র চাঁদের পৃষ্ঠতলে ছড়িয়ে পড়েছে৷ নেচার জিওসায়েন্সে এই নিয়ে একটি তথ্যও প্রকাশিত হয়েছে৷
আমেরিকার স্পেস সায়েন্স ইন্সটিটিউটের সিনিয়র গবেষক জশুয়া ব্যান্ডফিল্ড জানিয়েছেন, “দিনে বা রাতে, কোন সময় আমরা দেখছি বা কোন ল্যাটিচিউডে দেখছি, সেটা বিষয় নয়৷ পানির অস্তিত্ব থাকার সব রকম সংকেত পাওয়া গিয়েছে৷ পানির অস্তিত্ব পৃষ্ঠদেশের গঠনের উপর নির্ভর করে না৷ পানি আশপাশেই রয়েছে৷”
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, চাঁদের মেরু অক্ষাংশে পানি রয়েছে৷ চন্দ্রদিন (পৃথিবীর হিসেবে ২৯.৫ দিন) অনুসারে তা বাড়ে ও কমে৷ এই তথ্য গবেষকদের চাঁদের জল সম্পর্কে গবেষণা এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে৷ চাঁদের পানির উৎস কী, তা কীভাবে আসে, তাও জানতে সাহায্য করবে৷ যদি চাঁদে যথেষ্ট পরিমাণ পানি থাকে, আর তা পর্যন্ত যদি পৌঁছনো যায়, তাহলে তা ভবিষ্যতে খাওয়ার পানি হিসেবেও ব্যবহার করা যাবে৷ যদি তা নাও হয়, তাহলে জল ভেঙে হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন গ্যাস পাওয়া যাবে৷ সেই গ্যাস রকেটের জ্বালানি হিসেবে বা শ্বাস নেওয়ার জন্যও ব্যবহার করা যেতে পারে৷
নতুন এই তথ্য বলছে, হয়তো প্রাথমিকভাবে OH হিসেবে রয়েছে জল৷ বা H2O-র কাছাকাছি কোনও যৌগের আকারে রয়েছে৷ তা থেকে ভেঙে হাইড্রোজেন ও অক্সিজেনের অণু তৈরি করা সম্ভব হতে পারে৷ OH-কে বলা হয় হাইড্রক্সিল৷ এটি খুব বেশিদিন এভাবে থাকতে পারে না৷ কোনও না কোনও অণুর সঙ্গে জুড়ে যায়৷
চন্দ্রযান-১ স্পেসক্র্যাফ্টে মুন মিনেরারোলজি ম্যাপার স্পেকটোমিটারে তথ্যগুলির বিশ্লেষণ করা হয়৷ তাপমাত্রা নিয়েও নতুন তথ্য পাওয়া গিয়েছে৷ তবে তথ্যের বিশ্লেষণ এখনও শেষ হয়নি৷ বিজ্ঞানীরা এখনও চাঁদের জল নিয়ে মাথা ঘামিয়ে যাচ্ছেন৷ তবে ফলাফল বলছে, OH বা H2O রয়েছে চাঁদে৷ সৌর ঝড়ের প্রভাবেই এর সৃষ্টি হয়েছে৷