মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০০ পূর্বাহ্ন
র্যাব জানায়, এক তরুণী ভারতে পাচার হওয়ার পরে তার মা জানতে পারেন মেয়েটিকে দিয়ে পাচারকারীরা অনৈতিক কাজ করাচ্ছে। এরপর মেয়েটির মা ওই পাচারকারী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মেয়েকে উদ্ধারে জন্য তিনিও ভারতে পাচার হন। মামা-ভাগিনা ওরফে কালা-নাগিন চক্রটিই এই কাজটি করেছে।
এ বিষয়ে আজ দুপুরে কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানান র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ জানুয়ারিতে সাতক্ষীরা এলাকায় বিউটি পার্লারে চাকরির লোভ দেখিয়ে এক কিশোরীকে ভাগিয়ে নিয়ে যায় মামা নাগিন সোহাগ ও কাল্লুর চক্র। কিন্তু চাকরি না দিয়ে সাতক্ষীরায় সীমান্ত এলাকায় নিয়ে কিশোরীকে বিল্লাল নামে এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দেন কাল্লু ও সোহাগ। সেখান থেকে মানবপাচারকারী চক্রের সদস্য বিল্লাল এ কিশোরীসহ আরও তিনটি মেয়েকে অবৈধভাবে পাচার করে দেন ভারতের নিষিদ্ধ পল্লীতে।
পরে ভারতে পাচার হওয়া মেয়েকে উদ্ধার করতে নিজের পরিচয় গোপন করে কৌশলে মানবপাচারকারী চক্রের সদস্য নাগিন সোহাগ ও কাল্লুর কাছে চাকরির সন্ধান করেন ওই কিশোরীর মা। ফেব্রুয়ারিতে নাগিন সোহাগ ও কাল্লু একইভাবে ভুক্তভোগী কিশোরীর মাকেও এক লাখ ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন। চক্রটি একই পথে অবৈধভাবে তাকেও নিয়ে যায় ভারতের নিষিদ্ধ পল্লীতে।
পরে মানবপাচারকারী ওই চক্রের সদস্যদের হাত থেকে মা পালিয়ে আসেন। এরপর পশ্চিমবঙ্গ (পশ্চিম দিনাজপুর) ও বিহারের সীমান্তবর্তী এলাকা কিশানগঞ্জের পাঞ্জিপাড়ার নিষিদ্ধ পল্লী থেকে তার মেয়েকে উদ্ধার করেন সেই মা। উদ্ধারের পর বাংলাদেশে ফিরে আসার সময় ভারত সীমান্তে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) সদস্যরা তাদের ধরে ফেলেন।
পরে পুরো ঘটনা খুলে বললে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সঙ্গে যোগযোগ করে বিএসএফ। এরপর পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাদের বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়।