শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৫০ অপরাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউক্রেনে রুশ হামলার মধ্যেই দেশটির প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের জন্য রাজধানী কিয়েভে পৌঁছেছেন পূর্ব ইউরোপের তিন দেশ পোল্যান্ড, চেক রিপাবলিক এবং স্লোভেনিয়ার প্রধানমন্ত্রীরা। পোল্যান্ড থেকে ট্রেনে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) সন্ধ্যায় তাঁরা কিয়েভ পৌঁছান। বর্তমানে শহরটিতে ৩৫ ঘণ্টার কারফিউ চলছে।
চেক প্রধানমন্ত্রী পিটার ফিয়ালা এবং পোল্যান্ডের মাতিউস মোরাভিয়েস্কি এর আগে এ সফরের ঘোষণা দিয়ে বলেন, স্লোভেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী ইয়ানেস ইয়ানশা এবং তাঁরা দুজন কিয়েভে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে দেখা করবেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের অফিস থেকেও এ সফরের কথা নিশ্চিত করা হয়। তিন সপ্তাহ আগে ইউক্রেনে রুশ সামরিক হামলা শুরুর পর এই প্রথম কোনো বিদেশি নেতা দেশটি সফর করছেন।
তাঁদের সফরটি এমন সময় হচ্ছে যখন কিয়েভের শহরতলীতে গত কদিন ধরে রুশ সেনাদের সঙ্গে ইউক্রেনের সেনাদের তীব্র লড়াই চলছে।
তিন ইউরোপীয় নেতার এমন সাহসের ভীষণ প্রশংসা করেছে ইউক্রেন। পোল্যান্ড থেকে কিয়েভ পর্যন্ত দীর্ঘ পথ রেলযোগে পাড়ি দিতে তিন প্রধানমন্ত্রী বড় ধরনের ঝুঁকি নিয়েছেন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন সম্ভাব্য নিরাপত্তা ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক করার পরও এই তিনজন পিছিয়ে যাননি।
পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বলেন, কিয়েভেই ইতিহাস তৈরি হচ্ছে। এক টুইট বার্তায় তিনি লেখেন, ‘এখানেই, স্বাধীনতা অত্যাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করে। এখানেই আমাদের সবার ভবিষ্যৎ ঝুলে আছে’। সফরের ব্যাখ্যায় তিনি লেখেন, ‘তারা এমন বার্তা পৌঁছে দিচ্ছেন যে ইউক্রেন তার বন্ধুদের ওপর নির্ভর করতে পারে। ‘
তবে এই সফর যুদ্ধ বন্ধে চলমান আপসের অংশ কি-না তা পরিষ্কার নয়। অন্যদিকে, যুদ্ধাবস্থায় বিদেশি তিন নেতার নিরাপত্তা কিভাবে নিশ্চিত করা হচ্ছে- তা-ও পরিষ্কার নয়। আর রাশিয়াও তিন ইইউ নেতার সফর নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
‘ইউক্রেনের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়নের পূর্ণ সমর্থন এ সফরের উদ্দেশ্য’ মন্তব্য করে তবে চেক রিপাবলিকের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কিয়েভ সফরে ইউক্রেনের জন্য ইইউর পক্ষ থেকে একটি সহযোগিতা প্যাকেজের প্রস্তাব প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে দেওয়া হবে। ‘
সূত্র : বিবিসি, আলজাজিরা, সুইসইনফো, ইনডেক্স জার্নাল।