শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:০৫ পূর্বাহ্ন
একটা মেয়ে যে ক্রীড়া ব্যাক্তিত্ব হতে পারেন এই ব্যাপারটা এখনো বাংলাদেশে অনেকেই মেনে নিতে পারেনি, এমনটা মনে করেন বাংলাদেশের প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনাকারী নারী রেফারি জয়া চাকমা।
২০১২ সাল পর্যন্ত ফুটবল খেলেছেন রাঙ্গামাটির এই নারী।
এরপর কোচের দায়িত্বও পালন করেছেন তিনি। কোচ হবার দীক্ষা নিয়েছেন ২০১৩ সালে।
জয়া চাকমা তার আরো কয়েকজন সাবেক সতীর্থের সাথে ‘বি’ লাইসেন্স নেন।
২৭ বছর বয়সী জয়া বাংলাদেশ ও দেশের বাইরে রেফারির দায়িত্ব পালন করেছেন।
বিবিসি বাংলা তার কাছে জানতে চায় ফুটবলে নারীদের ম্যাচ পরিচালনা, বিশেষ করে ছেলেদের ম্যাচে, কতটা কঠিন।
জয়া মনে করেন এখানে গ্রহণযোগ্যতার বিষয়টি আসল। বিশেষ করে বাংলাদেশে অনেকেই মেয়েদের খেলাধুলা ঠিকভাবে নেয়না।
তিনি বলেন, “যখন মেয়ে রেফারি ছেলেদের ম্যাচে খেলে, তখন প্রশ্ন আসেই মেয়ে রেফারি কেনো? এখনো সেই বিষয় থেকে বের হয়ে আসতে পারেনি যে মেয়েরা খেলা পরিচালনা করতে পারে।”
জয়া চাকমা আরো জানান, ছেলেরা অনেক সময় সিদ্ধান্ত মানে না, অনেক সময় প্রয়োজনে অতিরিক্ত তর্ক করে।
তিনি বলেন, “কখনো এমন হয় যে কেউ এসে বলে আপনি কিছুই জানেননা। তবু এখানে ফিফার নিয়ম অনেক শক্ত। কেউ খেলা ছেড়ে তো যেতে পারবে না। আর রেফারির সিদ্ধান্তই আসল।”
রেফারি হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ার পেছনে মূল কারণ হিসেবে জয়া বলেছেন, তিনি ফুটবল থেকে দূরে থাকতে পারছিলেননা।
তার ভাষ্যে, ২০১২ তে জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ি। প্রায় এক বছর কোনো খেলাধুলায় ছিলামনা। তখন একটু বিমর্ষ হই। এভাবে বাদ পড়ে গেলাম।
এখন জয়া চাকমা বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোচ। তবে ৪-৫ বছর আগে ফুটবলে মেয়েদের কোচ হিসেবে থাকাটা এতো সহজ ছিলনা বলে জানান তিনি।
তাই ফুটবলের সাথে থাকার জন্য ম্যাচ পরিচালনাকেই বেছে নিয়েছেন জয়া চাকমা।
২০১৫ সালে বার্লিনে আন্তর্জাতিক ফুটবল উৎসবে ১০টি ম্যাচে রেফারির দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
এর আগে ২০১২ সালে বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্নামেন্টে প্রথম ম্যাচ পরিচালনা করেন জয়া।
এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন্স বা এএফসি অনূর্ধ্ব-১৪ চ্যাম্পিয়নশিপের খেলা পরিচালনা করেছেন শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও তাজিকিস্তানে।