শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:২৮ পূর্বাহ্ন
এক্সক্লুসিভ ডেস্ক: জীবনের নানা সমস্যা থেকে মুক্তির উপায় আমাদের জানায়। পারিবারিক কলহ হোক বা আর্থিক সমস্যা, এই সমস্ত কিছুরই সমাধান রয়েছে এই শাস্ত্রে।
তেমনই দাম্পত্য কলহ থেকে মুক্তি পেতে ও বিবাহিত জীবন সুখে কাটানোরও পথ দেখিয়ে থাকে বাস্তু শাস্ত্র। বাস্তু অনুযায়ী বেশ কিছু নিয়ম মেনে চললে দাম্পত্য জীবন সুখী তো হবেই, পাশাপাশি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রেম ও আকর্ষণও বৃদ্ধি পাবে।
সুখী দাম্পত্য জীবনের জন্য কী করবেন? সুখী দাম্পত্য জীবনের জন্য বাস্তু শাস্ত্র অনুযায়ী এই কাজগুলি ভুলেও করবেন না—
১. স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ককে মজবুত ও ভালোবাসায় ভরিয়ে রাখার জন্য বিমের নীচে কখনও বিছানা রাখবেন না। বিম বিচ্ছিন্নতার প্রতীক যা সম্পর্কে দূরত্ব সৃষ্টি করে। তবে বিম থেকে সরিয়ে বিছানা রাখা সম্ভব না-হলে বিমে বাঁসী বা পবনঘন্টি টাঙিয়ে দিতে পারেন। এর ফলে বাস্তু দোষ দূর হবে।
২. বাস্তু অনুযায়ী শয়নকক্ষে আয়না থাকা উচিত নয়। তবে থাকলে তা ঢেকে ঘুমানো উচিত।
৩. লোহার আসবাব রাখবেন না। আবার ধনুষাকৃতি, অর্ধচন্দ্রাকৃতি বা বৃত্তাকৃতি কোনও আসবাব রাখবেন না। এর ফলে দম্পতি অসুস্থ থাকতে পারে। আয়তাকৃতি, চতুর্ভূজাকৃতি এবং কাঠের ফার্নিচার বাস্তু অনুযায়ী শুভ।
৪. বাস্তু দোষ প্রতিরোধ করার জন্য কক্ষে তীব্র আলো রাখবেন না। এই লাইট এমন হওয়া উচিত, যাতে বিছানার ওপর সরাসরি আলো না-পড়ে। আলো সবসময় পিছন বা বাঁ দিক থেকে আসা উচিত।
৫. শয়নকক্ষের দরজার একদম কাছে বিছানা রাখবেন না। এমন হলে মনে অশান্তি ও ব্যাকুলতা থাকবে।
৬. শয়নকক্ষে শৌচালয় থাকলে, তার দরজা সবসময় বন্ধ রাখবেন। তা না-হলে শৌচালয়ের নেতিবাচক শক্তি আপনার জীবনে তিক্ততা সৃষ্টি করবে। আবার বিছানার তলায় কখনও নোংরা বা ভাঙাচোরা বস্তু রাখবেন না।
৭. শয়নকক্ষের দেওয়াল সাদা বা লাল রঙের হওয়া উচিত নয়। গাঢ় রঙের পরিবর্তে হাল্কা রঙ ব্যবহার করতে পারেন। সবুজ, গোলাপী ও আকাশী রঙ জীবনে ভালো প্রভাব ফেলে ও ইতিবাচক শক্তি সৃষ্টি করে। পারস্পরিক মতভেদ দূর করার জন্য এই রঙের পর্দা ও বিছানার চাদর ব্যবহার করতে পারেন।
৮. শয়নকক্ষে অপরাধ, অশান্তি, যাতনার ছবি লাগাবেন না। নিজের বিবাহের ছবি রাখলে ভালোবাসা বৃদ্ধি পায়।