সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:১৪ অপরাহ্ন
মিলন, ডিমলা প্রতিনিধি , নীলফামারী :
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের পূর্বখড়ীবাড়ী গ্রামে দূর্গম চরাঞ্চলে বসবাসকারী ৩ সন্তানের জননী গৃহবধুঁর স্বামীর ভিটে-মাটি, জায়গা-জমি ও বাড়ী-ঘর কেড়ে নিয়ে সব কিছুই জবর দখল করে গৃহবধুঁকে শারীরিক নির্যাতন করে তাড়িয়ে দিয়েছে চরাঞ্চলের স্থানীয় প্রভাবশালীরা। এ ঘটনায় এখন গৃহবধুঁ তার সব কিছুই হারিয়ে দুই কন্যা সন্তানকে নিয়ে ডিমলার ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দিন কাটছেন। নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের ইউসুফ আলী খান ো স্ত্রী শিল্পী বেগম এর মাটি ও জায়গা-জমির উপর চোখ পড়ে চাচা শশুড় ইয়াকুব আলী টিক্টার। ফলে দীর্ঘদিন ধরে নানা ভাবে অত্যাচার ও নির্যাতন করতে থাকে গৃহবঁধুর উপর ইয়াকুব আলী গং। কোন কিছুতেই কাজ না হওয়ায় গত ১ জানুয়ারী ইয়াকুব আলী টিক্কা, আনছার আলী খাঁ, শাজাহান আলী খাঁ, সহিদুল ইসলাম খাঁ , আনোয়ার হোসেন , মহির উদ্দিন, রহিমা বেগম ও লিপি বেগমসহ আরো অনেকেই দুপুরের দিকে অর্তকিত ভাবে হামলা চালিয়ে গৃহবঁধুকে শারীরিক নির্যাতন করে তাড়িয়ে দেয় প্রভাবশলীরা। শিশু সন্তানদের নিয়ে কোন মতে জীবন রক্ষা করে গৃহবধুঁ ভিটে-মাটি ও বাড়ী-ঘরের মায়া ত্যাগ করে পালিয়ে জীবন রক্ষা করে বলেও এলাকাবাসী জানিয়েছেন। এঘটনায় পরে গৃহবধুকে উদ্ধার করে তার বাবা নুর হোসেন গৃহবধুঁকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎসাধীন থাকা গৃহবধুঁ সাংবাদিকদের বলেন, এখন আমি কি করবো ? কোথায় যাবো ? আমার বাড়ী ঘর জায়হা জমি সব কিছুই কেড়ে নিয়েছে তারা। নির্যাতনের শিকার গৃহবধুঁ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় বিভিন্ন মহলে বিচার চেয়ে কোন প্রতিকার পাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন গৃহবধুঁর বাবা নুর হোসেন। তিনি জানান, আমার মেয়ে-জামাইয়ের পয়ত্রিক সম্পত্তিতে আমার মেয়ে বসবসা করলেো তারা বে-আইনী ভাবে আমার মেয়েকে মার ধর এবং শারীরিক নির্যাতন করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আমি এর বিচার চাই। এ দিকে গৃহহারা গৃহবধুঁ শিল্পী বেগম রংপুর বিভাগের আর্ন্তজাতিক মানবাধিকার সংস্থার চীপ কো-অর্ডিনেটর সিরাজুল ইসলাম সিরাজের নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ পেয়ে ৪ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার বিকালে ঘটনা তদন্তে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন উক্ত সংস্থার নীলফামারী জেলা সভাপতি,নারী নেত্রী ও আওয়ামী তাঁতীলীগের ডিমলা উপজেলা সভানেত্রী জাহানারা বেগম, বিভাগীয় তদন্ত অফিসার মোঃ রবিউল ইসলাম, জেলা তথ্য ও তদন্ত অফিসার সফর উদ্দিন ও আওয়ামী তাতীলীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান রেজু প্রমুখ। এ ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম শাহীন জানান, আমি ঘটনার কথা শুনেছি। ঘটনাটি উভয় পক্ষকে নিয়ে মিমাংশার চেষ্টা করা হচ্ছে।