বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০৮:৪৭ অপরাহ্ন
বিনোদন ডেস্ক: চিত্রনায়ক শরিফুল রাজকে বিবাহ বিচ্ছেদের নোটিশ পাঠিয়েছেন চিত্রনায়িকা পরীমনি। সোমবার এই চিত্রনায়িকা অভিনেতা শরিফুল রাজকে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়েছেন। তালাকের সেই কপি এসেছে গণমাধ্যমের কাছে।
চলতি বছর মে মাসে অভিনেত্রী সুনেরাহ বিনতে কামাল, তানজিন তিশা ও নাজিফা তুষির সঙ্গে শরিফুল রাজের বেশ কিছু আপত্তিকর ভিডিও ও স্থিরচিত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে যায়। এর পর থেকে পরীমনির সঙ্গে দাম্পত্যকলহ শুরু হয়। এর পর থেকে তারা আলাদা থাকছেন।
রাজের আচরণে অতিষ্ঠ হয়েই পরীমনি তাকে ডিভোর্স দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন এই নায়িকার আইনজীবী মো. শাহীনুজ্জামান।
গণমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে আইনজীবী বলেন, ‘নারী আসক্তি রয়েছে রাজের। হাতে নাতে ধরাও পড়েছেন তিনি কয়েকবার। এসব আচরণে অতিষ্ঠ হয়ে ডিভোর্স ফাইল করেছেন পরীমণি। মুসলিম আইন অনুযায়ী তিন মাস পর এই ডিভোর্স কার্যকর হয়ে যাবে।’
‘রাজ-পরীর দেনমোহরের পরিমাণ ছিল ১০১ টাকা। যদি তিন মাসের মধ্যে তারা নিজেরা বসে কোনো আপোষ-মিমাংসা না করে, তাহলে তিন মাস শেষে এই তালাক কার্যকর হয়ে যাবে।’
এ বিষয়ে সময় সংবাদকে নায়ক শরিফুল রাজ বলেন, এখনো কিছুই পায়নি। হাতে পেলেই সাইন করে দেব।
পরীমণি বিচ্ছেদপত্রে চারটি কারণ দেখিয়ে রাজকে তালাক দিয়েছেন। তিনি কারণ হিসেবে জানান ১. মনের অমিল হওয়া, ২. বনিবনা না হওয়া, ৩. খোঁজ না নেয়া এবং ৪. মানসিক অশান্তি জন্য ১৮ নম্বর কলাম অনুযায়ী বিবাহ বন্ধন ছিন্ন করতে চান।
এর আগেও একাধিকবার রাজ-পরীমণির সংসারে ভাঙ্গনের সুর বেজেছে। তবে খাদের কিনার থেকেও এক হয়েছেন তারা। একরত্তি সন্তানের কথা ভেবেই হননি আলাদা। এবার আর শেষরক্ষা হলো না। পরী-রাজের দুই পথ দুদিকেই বেঁকে গেল।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২১ জানুয়ারি হলুদ অনুষ্ঠানের পর ২২ জানুয়ারি রাতে জমকালো আয়োজনে ১০১ টাকা দেনমোহরে শরিফুল রাজ-পরীমণির বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা হয়। অতিথির তালিকায় ছিলেন তিন নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিম, চয়নিকা চৌধুরী ও রেদওয়ান রনি। সঙ্গে দুই পরিবারের স্বজনরা।
২০১৫ সালে ‘ভালোবাসা সীমাহীন’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক হয় পরীমণির। সে বছর ‘রানা প্লাজা’ ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়ে আলোচনায় আসেন তিনি। পরীমণি অভিনীত ছবিগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘ভালোবাসব তোমায়’, ‘মহুয়া সুন্দরী’, ‘রক্ত’ ও ‘স্বপ্নজাল’।