শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪১ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদন: কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ফরিদুল আলম মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন। বুধবার (১৫ নভেম্বর) তার ওই বক্তব্যের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
গত ৬ নভেম্বর সন্ধ্যায় মহেশখালীর কালারমারছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। কালারমারছড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে কর্মী সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সেখানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ফরিদুল আলম। সেই বক্তব্যের ২৮ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ক্লিপ বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
ভিডিওতে ফরিদুল আলমকে বলতে শোনা যায়, ‘আপনারা জানেন, বাংলাদেশে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। কী একটা পাতি হাঁস আসছে। পিটার হাস বদমাইশ। সে বিএনপির হয়ে যে অসভ্য কাজকারবারগুলো বাংলাদেশে করছে, তাকে পেলে জবাই করে মানুষকে খাওয়াইতাম। সেই পিটার হাস, বদমাইশ।’
এই বক্তব্য সম্পর্কে ফরিদুল আলম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি এই ধরনের বক্তব্য দিইনি। পিটার হাস আমাদের মেহমান। আমি মেহমানদারি করার জন্য বলেছিলাম। তাকে জবাই করে মানুষকে খাওয়ানোর বিষয়ে বক্তব্য দিইনি।
কালারমারছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত ওই সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল মোস্তফা। প্রধান বক্তা ছিলেন সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার পাশা চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক তারেক বিন ওচমান শরীফসহ আরও অনেকে।
এর আগে ৬ নভেম্বর চট্টগ্রামের বাঁশখালীর চাম্বল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চৌধুরী এক সমাবেশে পিটার হাসকে প্রকাশ্যে পেটানোর হুমকি দিয়েছিলেন। মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে হত্যার হুমকি দেয়ার অভিযোগে মুজিবুল হক চৌধুরীসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা নেয়ার আবেদন করেন এম এ হাশেম নামের এক ব্যক্তি। গত ১৩ নভেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিলা সুমু চৌধুরীর আদালত আবেদনটি খারিজ করে দেন।
গত ১০ নভেম্বর গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গণভবনের ফটকে সাংবাদিকদের বলেন, পিটার হাসকে নিয়ে মুজিবুল হক চৌধুরীর দেয়া বক্তব্য ‘শিষ্টাচারবহির্ভূত’।