বুধবার, ০২ Jul ২০২৫, ১০:০৭ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
বাগমারায় পথশিশু ধর্ষণ: সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও সনাক্ত হয়নি আসামি আটক হওয়া বাংলাদেশিদের কেউ কেউ আইএসের সঙ্গে যুক্ত: মালয়েশিয়া পুলিশ কুড়িগ্রামে বিপুল প‌রিমাণ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ মাদক কারবা‌রি গ্রেফতার লালমনিরহাটে পরিকল্পনাহীন নগরায়ণের ছোবলে ফুরিয়ে যাচ্ছে কৃষি জমি বিদ্যালয়ে সহপাঠীর হামলায় আহত ছাত্র, হামলাকারীদের শাস্তির দাবি অভিভাবকের গোপালগঞ্জে শ্বশুরবাড়ি থেকে ভুয়া সেনা সদস্য আটক বাহরাইনের বিপক্ষে বাংলাদেশের ৭ গোলের বিশাল জয় কলাগাছিয়া গ্রামে কাদা-মাটির নিচে থাকা সড়ক যেন মরণ ফাঁদ এইচএসসি পরীক্ষা দিতে বেরিয়ে নিখোঁজ হওয়া মাহিরা উদ্ধার দেশের ইতিহাসে এক বছরে প্রবাসী আয়ে রেকর্ড
কালাইয়ে সহিদুল হত্যা মামলায় দশজনের যাবজ্জীবন

কালাইয়ে সহিদুল হত্যা মামলায় দশজনের যাবজ্জীবন

আঃ রাজ্জাক জয়পুরহাট: জয়পুরহাটের কালাইয়ে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে কৃষক সাইদুল হত্যা মামলায় পিতা-পুত্রসহ ১০ জনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ মে) দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক নুরুল ইসলাম এ রায় দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জয়পুরহাট আদালতের সরকারি এপিপি আবু নাছিম মো: শামীমুল ইমাম শামীম।

দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, কালাই উপজেলার আওড়া কালিমোহর গ্রামের মৃত তফিজ উদ্দীনের ছেলে জয়নাল মন্ডল, মোজাম্মেল হক ও মোফাজ্জল হোসেন, মোফাজ্জলের ছেলে মোস্তফা ও মোসফর আলী, মোজাম্মেলের ছেলে মাহফুজার ও মাসুদ, বাদশার ছেলে মামুনুর রশীদ, মৃত লসির উদ্দীনের ছেলে সামসুদ্দিন ও আলমগীরের ছেলে বেলাল।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ৫ জুলাই বিকেলে কালাই উপজেলার আওড়া গ্রামের আব্দুস সামাদের পৈত্রিক দখলীয় সম্পত্তিতে আসামীরা দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মাটি কেটে তাদের অন্য জমি ভরাট করছিল। তখন সামাদের দুই ছেলে সাইদুল ইসলাম ও শরীফুল ইসলাম তাদের বাঁধা দিলে আসামীরা সাইদুল ও শরীফুলকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারপিট করে রক্তাক্ত জখম করে। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কালাই হাসপাতালে ভর্তি করায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৪ জুলাই সাইদুল ইসলামের মৃত্যু হয় । এ ঘটনায় নিহতের পিতা আ: সামাদ বাদী হয়ে কালাই থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে মামলার তৎকালীন তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি তদন্ত বিম্বজিৎ বর্মন ২০১৫ সালের ২৬ নভেম্বর আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন। পরবর্তী ২২ জন স্বাক্ষীর সাক্ষতে আজ এ রায় দেন।

মামলায় সরকারি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন আবু নাছের মো: শামীমুল ইমাম শামীম। আর আসামী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন কাজী রাব্বিউল হাসান মোনেম।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com