শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৪৪ পূর্বাহ্ন
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক সহিংসতার ঘটনায় তদন্তে গঠিত ১ সদস্যের বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনের কাজের সময়সীমা ও কর্মপরিধি বাড়ানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০১ আগস্ট) এ কমিশনকে একদিনের ঘটনা তদন্ত করার দায়িত্ব দেয়া হলেও সেটি বেড়ে এখন ১৬ জুলাই থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়।
এর আগে মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সন্ধ্যায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাত মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, চার সচিব ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে ঘটে যাওয়া সহিংসতা ও প্রাণহানির ঘটনায় গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনের সংখ্যা বাড়ছে বলে জানান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন নিয়ে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আপনি যে তদন্ত কমিশনের কথা বলছেন, সেটার টিওআর বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। প্রজ্ঞাপন চলে গেছে। ২১ জুলাই পর্যন্ত যেসব ঘটনা ঘটেছে, সেটার তদন্ত করবে তারা। যেহেতু এর পরিধি, অনুসন্ধান ও তদন্তের পরিসর বেড়ে গেছে, আমরা চিন্তা করছি, তদন্ত কমিশনের সদস্য বাড়িয়ে তিনজন করার। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়তো শিগগির নিতে পারি।
কোটা সংস্কার আন্দোলন সহিংসতায় রূপ নিলে গত ১৬ জুলাই ঢাকায় দুজন, চট্টগ্রামে তিনজন এবং রংপুরে একজনের মৃত্যু হয়। এরপর প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ১৬ জুলাই এবং পরবর্তী সময়ে ঘটে যাওয়া সহিংসতা ও প্রাণহানির তদন্তে ১৮ জুলাই এক সদস্যের বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
সেই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ১৬ জুলাই দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত ঘটনায় ছয় জন নিহত হওয়া এবং সাম্প্রতিক সময়ে সংঘটিত সহিংসতা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ঘটনা তদন্ত করবে এই কমিটি। তদন্ত শেষে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে সরকারকে প্রতিবেদন দিতে হবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার বিভাগ কমিটির সচিবিক দায়িত্ব পালন করবে।
সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামান এই কমিশনের একমাত্র সদস্য।
এদিকে, কোটা আন্দোলনে হতাহতের ঘটনা তদন্তে জাতিসংঘের আগ্রহকে স্বাগত জানিয়েছে সরকার। মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) দুপুরে এই তথ্য জানান প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান। এছাড়া আন্দোলন চলাকালে হতাহতের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটিকে বিদেশি কারিগরি সহায়তা নেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন।