শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:২৬ পূর্বাহ্ন
শেখ জাহাঙ্গীর হোসেন স্টাফ রিপোর্টার: দেশে কিছু সরকারি প্রতিষ্ঠান আছে, যাহাদের নাম শোনামাত্রই শ্রোতার মনশ্চক্ষে দুর্নীতি আর অনিয়মের ভয়াবহ চিত্র ভাসিয়া ওঠে। উহাদের মধ্যে নিঃসন্দেহে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ-বিআরটিএ অন্যতম।
গত কয়েক বৎসরে বহুবার রাজধানীর বিআরটিএ কার্যালয় দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাকে ও দালাল নির্মূলে বিভিন্ন অভিযান ও দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তাদের বদলি করে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হয় কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক, তৎসত্ত্বেও দেশের সড়ক পরিবহন খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটিতে পরিস্থিতির কোনো ইতরবিশেষ ঘটিয়াছে বলিয়া প্রতীতি জন্মে না। উহারই সাক্ষ্য দিতেছে বিআরটিএর মিরপুর কার্যালয়ে বিদ্যমান অনিয়ম ও দুর্নীতি আনসার সদস্য ফিরোজ হক। বিভিন্ন অভিযানের মাধ্যমে দালাল কিছুটা নির্মূল করতে পারলেও মিরপুর বিআরটিএতে আনসার সদস্য ফিরোজ হক দালালি ও দুর্নীতির সকল দায়িত্ব নিজের কবযায় নিয়ে নেয় সুকৌশলে।মানবজমিন এগিয়ে দেখা যায় আনসার সদস্য ফিরোজ হক মিরপুর গেটে আসা গাড়ির ফিটনেস মালিকানা পরিবর্তন, ডিজিটাল নাম্বার প্লেট, রেজিস্ট্রেশন সহ সকল কাজে আসা ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে কৌশলে দায়িত্ব নিয়ে বিভিন্ন অসাধু কর্মকর্তাদের সংস্পর্শে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে এ কাজগুলো করে দেয়। আনসার সদস্য ফিরোজ পুরা বিআরটি নিয়ন্ত্রণ করে তার একক ছত্রছায়ায়। তার এসপর অপকর্ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে দেখার মত যেন কেউ নেই।
বস্তুত দেশের প্রায় সকল বিআরটিএ কার্যালয়েই অল্প-বিস্তর এই অবস্থা বিরাজমান; যথায় প্রতিদিন শত-সহস্র মানুষকে গাড়ির নিবন্ধন, মালিকানা পরিবর্তন, উপযুক্ততা সনদ, নূতন লাইসেন্স গ্রহণ এবং নবায়ন, ডিজিটাল নাম্বারপ্লেটসহ মোটরযান সংক্রান্ত বিভিন্ন কার্যোপলক্ষে যাইতে হয়। এই কারণেই সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান হোতা অদক্ষ ও প্রশিক্ষণবিহীন চালকেরা লাইসেন্স বাগাইয়া সড়ক-মহাসড়কে গাড়ি চালাইতে পারিতেছে। একই কারণে সড়কে ফিটনেসবিহীন গাড়িরও প্রাধান্য পাইতেছে।
গত আগস্ট স্বৈরাচার সরকার পতনের পর কিছু অসাধু আনসার সদস্য আন্দোলনের নামে নাশকতা মূলক কর্মকাণ্ড এবং ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের উপর হামলাও চালান একাধিক সূত্রে জানা যায় ওই আন্দোলনে আনসার সদস্য ফিরোজ হক অংশগ্রহণ করে । ইতিমধ্যে আমরা লক্ষ্য করেছি অনেক আনসার সদস্য গ্রেফতার হয়েছে। এবং দুর্নীতিতে যারা একক ছায়া বিস্তার করে তাদেরকে বদলিও করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে একাধিক ব্যক্তি বলেন আনচাস সদস্য ফিরোজ মিরপুর বি আর টি পুরা দাপিয়ে বেড়ায় এবং বিআরটি সার্ভিস নিতে আসা ব্যক্তিদের কে কৌশলে তার নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয় এবং তার নিয়ন্ত্রণে রেখে ওদিক টাকার বিনিময়ে কাজগুলো করে দেয়।বিভিন্ন সূত্রে জানা যায় আনসার সদস্য ফিরোজ এর নেতৃত্বে একাধিক দালাল চক্র কাজ করে মিরপুর বিআরটি তে। স্যার জমিনে গিয়ে আনসার সদস্য ফিরোজ এর কিছু তথ্য প্রমান ও ভিডিও ফুটেছে ও আছে আমাদের হাতে। যাতে দেখা যায় স্পষ্ট আনসার সদস্য ফিরো গ্রাহকদের কাছ থেকে ফাইল নিয়ে বিভিন্ন রুমে গিয়ে নিজ দায়িত্বে কাজগুলো করে দেয়। এ বিষয়ে মিরপুর বিআরটিএ একাধিক কর্মকর্তার সাথে কথা বললে তারা ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হন নাই। দুর্নীতির একক ছত্রছায়া এবং সারাদেশকে একটা দুর্নীতিগ্রস্ত দেশে পরিণত করায় ছাত্র জনতা সহ সকল সাধারণ মানুষ স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতন ঘটিয়ে অভ্যন্তরীণে সরকার গঠন করে এই অভ্যন্তরীণের সরকার এর মোর লক্ষ্য হলো সকল দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করা এমন কি দেশের জনগণের স্বাধীনতা রক্ষা করা। ফিরোজ হকের মত দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তা যদি এভাবে বিভিন্ন অফিসে থাকে তাহলে এ দেশকে কখনো দুর্নীতিমুক্ত করা যাবে না বলে মন্তব্য করেন সাধারণ মানুষ। বি আর টি তে গ্রাহক সেবা নিতে আসা কিছু মানুষ বলেন আমরা আছি সঠিক নিয়ম সঠিকভাবে কাজ করতে কিন্তু তাদের কৌশলের কাছে আমরা হেরে যাই। প্রত্যেকের দাবি মিরপুর বিআরটি তে কর্মরত সকল কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে ভালো কর্মকর্তা দ্বারা বিয়েটি নিয়ন্ত্রণ করা। এতে করে আমরা সাধারণ মানুষ সঠিক সেবা পাবো বলে আশা করি। এ বিষয়ে আনসার সদস্য ফিরোজের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও কথা বলা যায় নাই