শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:২৯ পূর্বাহ্ন
মীর রাজিবুল হাসান নাজমুল :
সাম্প্রতিক সময়ে দেশে ধারাবাহিকভাবে সাংবাদিক হত্যা, নির্যাতন, হয়রানি ও মামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ঢাকা প্রেসক্লাব। সংগঠনটি এক বিবৃতিতে এসব ঘটনাকে দুঃখজনক, লজ্জাজনক ও নিন্দনীয় বলে অভিহিত করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, “আমরা এসব বর্বরোচিত ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাই।”
ঢাকা প্রেসক্লাব জানায়, সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতার ছবি ব্যবহার করে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
সাংবাদিক সমাজকে বিভক্ত করার এ ধরনের প্রচেষ্টা কেবল অনৈতিকই নয়, গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর গুরুতর আঘাত। বিগত সরকারের নেতাকর্মীদের সাথে ছবি মিশিয়ে বা কোন অনুষ্ঠানের ছবিকে পুঁজি করে মব সৃষ্টি করে সাংবাদিকদের নাজেহাল করছে।অনুরোধ করবো এসব থেকে সকলে বিরত থাকবেন। কারণ সাংবাদিক কোন দলের নয়। সংগঠনটির বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “আমাদের মনে রাখতে হবে, ৫ আগস্টের আত্মত্যাগ ও সংগ্রামের মধ্য দিয়েই বাংলাদেশ নতুন করে সৃষ্টি হয়েছিল। বৈষম্য দূর করে একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গড়ার স্বপ্ন ছিল তখন। তাহলে আজ কেন আবার সাংবাদিকদের রক্ত দিতে হবে, কেন নির্যাতনের শিকার হতে হবে? এ ধরনের পরিস্থিতি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
ঢাকা প্রেসক্লাব স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, সাংবাদিক হত্যা ও নির্যাতনের প্রতিটি ঘটনার ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। অপরাধীদের দ্রুত চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তি দিতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ সাংবাদিকের কলমকে রক্তাক্ত করার দুঃসাহস না দেখায়।
এছাড়া সংগঠনটি সাংবাদিক সমাজকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে বলে, “আমাদের নিজেদের ভেতরে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত বিরোধ বা বিভক্তি তৈরি করা যাবে না। কারণ আমরা বিভক্ত হলে কেবল সাংবাদিক সমাজই নয়, পুরো জাতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ঐক্যবদ্ধ সাংবাদিক সমাজই সত্য ও গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় শক্তি।
পরিশেষে ঢাকা প্রেসক্লাবের সভাপতি আওরঙ্গজেব কামাল বলেন, “আমরা আবারও স্পষ্টভাবে জানাচ্ছি—সাংবাদিক হত্যা ও নির্যাতনের প্রতিটি ঘটনার বিচার চাই। একই সঙ্গে সাংবাদিক সমাজকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই—ঐক্যই আমাদের প্রধান শক্তি। ঐক্য থাকলে কোনো শক্তিই আমাদের কলমকে স্তব্ধ করতে পারবে না।