বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:১৬ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের এবারের আসরে আবাহনী লিমিটেডের হয়ে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। গড়েছেন লিগের সর্বাধিক উইকেট শিকারের রেকর্ড। গড়েছেন আরও বিরল কিছু রেকর্ডও। টানা চার বলে উইকেট নিয়েছেন। ক্রিকেটীয় পরিভাষায় যাকে বলে ডাবল হ্যাটট্রিক। কিন্তু বয়স যে তার প্রায় ৩৫। এ বয়সেও এমন দূর্বার বোলিং কিভাবে করলেন? এর উত্তরে কিছুটা অদৃষ্টবাদী হয়ে নিজের কৃতিত্বের চেয়ে ভাগ্যকেও বড় করে ধরলেন এ পেসার।
যে বয়সে পেসাররা আগুন ঝরান তা অনেক আগেই পেরিয়ে এসেছেন মাশরাফী। তারপরও এমন পারফরম্যান্সের রহস্যটা কি? জানতে চাওয়া হয় মাশরাফীর কাছে। তার ভাষায়, ‘গোপন কিছুই না। পুরো ফোকাস রেখেছিলাম। কারণ আমি জানি আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছি না। এ কারণে পুরো লিগেই আমার ফোকাস ছিল। এর বাইরে ডিসিপ্লিন ছিলাম। নিয়মিত জিম করেছি, যতোটুকু অনুশীলন দরকার করেছি। খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারগুলোও মেনে চলেছি। উইকেটের যায়গায় আমি ভাগ্যবান বলতে হবে। কারণ উইকেট নিয়ে আমি ভাবিনি।
বৃহস্পতিবার লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের বিপক্ষে ৯৪ রানের বড় ব্যবধানে জয় তুলে শিরোপার উল্লাসে মাতে আবাহনী। এদিন ১টি উইকেট পেয়েছেন মাশরাফী। সব মিলিয়ে ৩৯টি। লিস্ট এ হওয়ার পর এটাই সর্বাধিক উইকেট নেওয়ার রেকর্ড। ভাগ্য সঙ্গে থাকার কারণেই এমনটা করতে পেরেছেন বলে আরও একবার উল্লেখ করলেন মাশরাফী, ‘আমি ভাগ্যে বিশ্বাস করি। হার্ড-ওয়ার্ক তো অবশ্যই দরকার। তবে এখানের ভাগ্যের সহায়তাও আছে।’
তবে উইকেট শিকারের চেয়ে নিজেকে ফিট রাখার জন্যই খেলেছেন মাশরাফী। টি-টুয়েন্টি ও টেস্ট দলে না থাকার কারণে বেশিরভাগ সময়ই বসে কাটাতে হয়। তাই ঘাটতি পোষাতেই সকল মনোযোগ লিগে দিয়েছেন বলে জানালেন তিনি, ‘আমি যেভাবে চাচ্ছিলাম এবার সেভাবেই সব কিছু করতে পেরেছি। সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল আমি যেখানে ছিলাম, সেটা ধরে রাখা। ফিটনেসে যেন ঘাটতি না হয়, সেইদিকে মনোযোগী হওয়া। এইসব জায়গায় আমি কাজ করতে চেয়েছি, কখনোই চিন্তা করিনি উইকেট নিতে হবে।’
ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই একের পর এক ইনজুরিতে পড়ে আগের গতি ও ধার হারিয়েছেন মাশরাফী। কিন্তু বয়সের সাথে সাথে পরিণত তার বুদ্ধি। মূলত মাথা খাটিয়ে সঠিক জায়গায় বল করেই ধারাবাহিক সাফল্য পাচ্ছেন এ পেসার। তবে ভাগ্যকে মূল্য দিতেই হবে তার। কারণ ক্রিকেট বিশ্বে এতবার ইনজুরিতে পড়ে ক্রিকেটে টিকে থাকার কোন রেকর্ডই যে কোন পেসারের।