রবিবার, ০৯ মার্চ ২০২৫, ০৮:৫৪ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
হরিপুর আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২৫ ইং উপলক্ষে আলোচনা সভা ভুট্টাক্ষেতে মিলল প্রিয় দ্বিতীয় স্ত্রীর মাথাবিহীন লাশ, প্রথম স্ত্রী নিয়ে স্বামী পলাতক সাংবাদিক ও মানবাধিকার সুরক্ষা কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ সাংবাদিকের নামে ষড়যন্ত্রমূলক বনখেকো চক্রের অপপ্রচারের প্রতিবাদে মানববন্ধন নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার কৃতি সন্তান হাসান পেলেন ইন্টেল চাকরি, বছরে বেতন ২ কোটি টাকা নরসিংদী মনোহরদীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতে দুইজন ব্যবসায়ীকে জরিমানা ভোলায় “সাংবাদিক নির্যাতনকারীদের সঙ্গে বেয়াদব এসপির কীসের পীড়িতি?” ডোমারে সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসীদের তাণ্ডব: ব্যবসায়ীকে মারধর ও চাঁদাবাজির অভিযোগ শরণখোলায় এক ব্যবসায়ীর ঘর আগুনে ভস্মীভূত সুন্দরবন টহল ফাড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুমনের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন
সুন্দরবন টহল ফাড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুমনের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

সুন্দরবন টহল ফাড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুমনের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

রাজিব হোসেন, শরণখোলা উপজেলা:

সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের কটকা টহল ফাড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোয়েবুর রহমান সুমন এর বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছে মৎস্য ব্যবসায়ী ও জেলেরা।
৫ মার্চ সকালে শরণখোলা উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগে মৎস্য ব্যবসায়ী উত্তর তাফালবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম বলেন, তিনি যথা নিয়মে সরকারী পাস পার্মিট করে তার জেলে বহর সহ কটকা এলাকার অভয়াশ্রমের বাইরে মাছ ধরতে গেলে সেখানের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোয়েবুর রহমান সুমন তাদের জানায় মাছ ধরতে হলে প্রতিবার ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা দিতে হবে অন্যথায় মাছ ধরা যাবে না। বন কর্মকর্তাকে টাকা দিলে জেলেদের অভয়ারণ্যে মাছ ধরার অনুমতিও দেয়। বিনিময়ে তাকে ৫০ হাজার টাকা দিতে হয় বলে শফিকুল জানায়। শফিকুল ইসলাম বিকাশের মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দেয়। চুক্তি অনুযায়ী সুন্দরবনের কটকা এলাকার বিভিন্ন নদীতে মাছ ধরতে থাকে তার জেলেরা। পরবর্তীতে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোয়েবুর রহমান আরো ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। এ নিয়ে জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ীদের মধ্যে বাগ বিতদন্ডতা হয়। পরে টাকা না পেয়ে সোয়েবুর রহমান ও তার বনরক্ষীরা শফিকুল ইসলামের জেলেদের দুটি নৌকা ভেঙ্গে ফেলে এবং তাদের একটি জাল রেখে দেয়। এতে ওই জেলেদের কমপক্ষে ২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। লিখিত অভিযোগে তিনি আরো বলেন সোয়েবুর রহমান ওই এলাকায় বিনা পাশে উৎকোচ নিয়ে বিভিন্ন এলাকার জেলেদের দিয়া মাছ ধরিয়া থাকেন। তিনি টাকা ছাড়া কিছুই চেনেন না টাকা দিতে পারলে কটকার যে কোন জায়গায় মাছ ধরার অনুমতি দেন সোয়েবুর রহমান। উপস্থিত জেলেরা সোয়েবুর রহমানকে অত্যন্ত বদমেজাজি একজন কর্মকর্তা বলে অভিহিত করেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কটকা টহল ফাড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোয়েবুর রহমান বিষয়টি এড়িয়ে বলেন কটকা অভয়ারণ্যের ভিতরে কোনো মাছ ধরতে দেওয়া হয় না। শফিকুল ইসলাম এর অভিযোগের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন। শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা রানা দেব বলেন, কটকার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোয়েবুর রহমানের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ পেয়েছেন, বিষয়টি তদন্ত চলছে তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com