সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫, ১২:১২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
মাদক সরবরাহকারীকে আটকে রেখে চাঁদা দাবী ঝুঁকিপূর্ণ সেক্টরে বিনিয়োগকারীদের জন্য অতিরিক্ত ডকুমেন্টেশন বাধ্যতামূলক করা উচিত শাস্তির ভয় না থাকলে অ্যান্টি মানি লন্ডারিং নীতিকে গুরুত্ব দেবে না নর্দার্ণ ইসলামি ইন্স্যুরেন্স কুড়িগ্রামে দ্বারিক মুক্ত সমবায় সমিতির নামে ৪ কোটি টাকা নিয়ে উধাও কর্মকতা, প্রতারিতদের আর্তনাদ! গুলতেকিনের পর এবার হুমায়ূনকে নিয়ে শাওনের পোস্ট দলগুলো একমত না হলে জুলাই সন‌দের বাস্তবায়ন পদ্ধ‌তি ঠিক করবে কমিশন: আলী রীয়াজ বিমা দাবি প্রত্যাখ্যান: কেন ঘটে, কীভাবে এড়ানো যায় বাংলাদেশ-চীনের জনগণের মধ্যে বন্ধুত্ব আরো দৃঢ় হয়েছে : ড. ইউনূস কুড়িগ্রাম চর বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ অভিনয়কে বিদায় জানিয়ে চাকরি খুঁজছেন হাসান মাসুদ

সুন্দরবন টহল ফাড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুমনের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

ভিশন বাংলা ২৪ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ৫ মার্চ, ২০২৫
  • ১২৪

রাজিব হোসেন, শরণখোলা উপজেলা:

সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের কটকা টহল ফাড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোয়েবুর রহমান সুমন এর বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছে মৎস্য ব্যবসায়ী ও জেলেরা।
৫ মার্চ সকালে শরণখোলা উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগে মৎস্য ব্যবসায়ী উত্তর তাফালবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম বলেন, তিনি যথা নিয়মে সরকারী পাস পার্মিট করে তার জেলে বহর সহ কটকা এলাকার অভয়াশ্রমের বাইরে মাছ ধরতে গেলে সেখানের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোয়েবুর রহমান সুমন তাদের জানায় মাছ ধরতে হলে প্রতিবার ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা দিতে হবে অন্যথায় মাছ ধরা যাবে না। বন কর্মকর্তাকে টাকা দিলে জেলেদের অভয়ারণ্যে মাছ ধরার অনুমতিও দেয়। বিনিময়ে তাকে ৫০ হাজার টাকা দিতে হয় বলে শফিকুল জানায়। শফিকুল ইসলাম বিকাশের মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দেয়। চুক্তি অনুযায়ী সুন্দরবনের কটকা এলাকার বিভিন্ন নদীতে মাছ ধরতে থাকে তার জেলেরা। পরবর্তীতে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোয়েবুর রহমান আরো ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। এ নিয়ে জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ীদের মধ্যে বাগ বিতদন্ডতা হয়। পরে টাকা না পেয়ে সোয়েবুর রহমান ও তার বনরক্ষীরা শফিকুল ইসলামের জেলেদের দুটি নৌকা ভেঙ্গে ফেলে এবং তাদের একটি জাল রেখে দেয়। এতে ওই জেলেদের কমপক্ষে ২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। লিখিত অভিযোগে তিনি আরো বলেন সোয়েবুর রহমান ওই এলাকায় বিনা পাশে উৎকোচ নিয়ে বিভিন্ন এলাকার জেলেদের দিয়া মাছ ধরিয়া থাকেন। তিনি টাকা ছাড়া কিছুই চেনেন না টাকা দিতে পারলে কটকার যে কোন জায়গায় মাছ ধরার অনুমতি দেন সোয়েবুর রহমান। উপস্থিত জেলেরা সোয়েবুর রহমানকে অত্যন্ত বদমেজাজি একজন কর্মকর্তা বলে অভিহিত করেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কটকা টহল ফাড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোয়েবুর রহমান বিষয়টি এড়িয়ে বলেন কটকা অভয়ারণ্যের ভিতরে কোনো মাছ ধরতে দেওয়া হয় না। শফিকুল ইসলাম এর অভিযোগের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন। শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা রানা দেব বলেন, কটকার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোয়েবুর রহমানের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ পেয়েছেন, বিষয়টি তদন্ত চলছে তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2011-2025 VisionBangla24.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com