মঙ্গলবার, ০১ এপ্রিল ২০২৫, ০১:২৩ পূর্বাহ্ন
ফালু মিয়া, বিশেষ প্রতিনিধি : মাধবদী প্রায় চার মাস পূর্বে দাফনকৃত সাবেক পৌর কমিশনারের লাশকে ঘিরে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। শনিবার দুপুরের দিকে ওই কাউন্সিলরের কবরের মাটি খুঁড়ে লাশে আগুন দেয়ার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। এর পরপর শতশত উৎসুক জনতা কবরস্থানে ভিড় জমায়। পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত চার মাস পূর্বে কার্ডিয়াক অ্যাটাকে মারা যান মাধবদীর ছোট গদাইরচর (গাংপাড়) এলাকার মৃত তালেব হোসেন এর মেজো ছেলে ও মাধবদী পৌরসভার সাবেক কমিশনার মোবারক হোসেন (৫৮)। শনিবার (২২ মার্চ) দুপুরের দিকে স্থানীয়রা গোরস্থানে তার কবরটি থেকে লোহার মাচা সরানো এবং খুঁড়ে রাখা অবস্থায় দেখতে পায়। পরে খবর পেয়ে তার স্বজনরা এসে কবরটি পর্যবেক্ষণ করে লাশটি পেট্রোল দিয়ে পুড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে বলে জানান। এসময় কবর থেকে একটি পেট্রোলের পাত্র (প্লাস্টিকের বোতল), পোড়া কাপড় ও কাঠ উদ্ধার করা হয়। স্বজনদের দাবি চার মাস আগে দাফন করা হলেও সাবেক এই কমিশনারের মরদেহটি এখনো অক্ষত রয়েছে।
সরজমিনে ঘিয়ে দেখা যায়, মরদেহটি দেখতে শত শত মানুষ কবরস্থানে ভিড় জমিয়েছে। তারা জানান, আলামত দেখে ধারণা করা হচ্ছে মরদেহটির মুখের দিকে আগুন দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। ঘটনার পরপর স্থানীয় পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। নিহতের ছেলে আবির হোসেন জানান, তার বাবা চার মাস ৭ দিন আগে হৃদরোগ আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। পরে সামাজিক ভাবে বাড়ির পাশে স্থানীয় গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। শনিবার দুপুরে লোকমুখে খবর শুনে তারা কবরস্থানে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পায়। তবে কবর খুঁড়ে মরদেহটি কেন পুড়িয়ে দিতে চাইছিল আমাদের বোধগম্য নয়। আমরা আইনি সহায়তা চাই।
নিহতের ছোট ভাই হাজী মুহাম্মদ রোমান জানান, ছোট গদাইরচর (গাংপাড়) এলাকার জামে মসজিদের পাশে গোরস্থানটি অবস্থিত। পথচারীরা সকালে এই পথে হাঁটার সময় কবরের লোহার মাচাটি সরানো দেখে একটু উকি দিয়ে দেখেন কবরও খোড়া। পরে ঘটনাটি জানাজানি হলে খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসে দেখেতে পাই মরদেহের মাথা উপর বাঁশ সরানো, কে বা কারা পরিকল্পিতভাবে কবরটি খুঁড়ে রেখেছে। পরে কবরের ভিতরে উঁকি দিয়ে দেখি একটি পানির বোতল। এতে পেট্রোলের গন্ধ পাওয়া যায়। এরপাশেই পোড়া কাপড় ও কাঠ পড়ে থাকতে দেখা যায়। তিনি বলেন আশ্চর্যের বিষয় হলো, আমার ভাইয়ের মরদেহটি এখনো অক্ষত রয়েছে। আমরা ধারনা করছি কেউ পরিকল্পিতভাবে মরদেহটি পুড়িয়ে ফেলতে চাইছিলো।