কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভ সৈকতের উপকূলে গভীর রাতে গোপন অভিযানে ২৯ জন পাচার হতে যাওয়া ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এসময় মানব পাচারকারী চক্রের তিন সদস্যকে দেশীয় অস্ত্রসহ হাতেনাতে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার মহেষখালিয়া পাড়া গ্রামের মৃত মোজাহার মিয়ার ছেলে মোঃ সলিম (৩৫), একই গ্রামের মুজিবুর রহমানের ছেলে মোঃ নুরুল আবছার (১৯) ও উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এ ব্লকের বাসিন্দা করিমুল্লাহ এর ছেলে
মনসুর আলম (২২)।এসময় ১টি দেশীয় ধারালো চাকু,১ টি মোটর সাইকেল ও একটি ইঞ্জিনচালিত সাম্পান নৌকা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
বিজিবি সূত্রে জানা যায়, রাজাছড়ায় পরিচালিত সশস্ত্র মানব পাচারকারীদের আস্তানা ধ্বংস করার পর ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের নজরদারি সমুদ্র উপকূলের দিকে বৃদ্ধি করা হয়। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, অভিযানে পালিয়ে যাওয়া পাচারকারীরা কিছু ভুক্তভোগীকে সমুদ্রপথে পাচারের চেষ্টা করতে পারে।
এরই প্রেক্ষিতে, সন্ধ্যার পর টেকনাফের মেরিন ড্রাইভ সৈকতের বিভিন্ন কৌশলগত পয়েন্টে বিজিবির বিশেষ টহল দল অবস্থান নেয়। রাত গভীর হলে উপকূলীয় এলাকায় সন্দেহজনক গতিবিধি লক্ষ্য করা গেলে দ্রুত ঘটনাস্থল ঘিরে ফেলে অভিযান চালানো হয়। এসময় দেখা যায়, একটি ইঞ্জিনচালিত সাম্পান নৌকায় করে ২৯ জনকে অবৈধভাবে পাচারের প্রস্তুতি নিচ্ছে পাচারকারী চক্র।
টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান, পিএসসি’র নেতৃত্বে পরিচালিত দ্রুত ও কার্যকর অভিযানে পাচারকারীদের সেই প্রচেষ্টা ভেস্তে যায়। ঘটনাস্থল থেকে তিন জন পাচারকারীকে দেশীয় অস্ত্রসহ আটক করা হয়।
বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, উদ্ধারকৃত ২৯ জন ভুক্তভোগীকে যথাযথ প্রশাসনিক প্রক্রিয়া শেষে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে। একই সঙ্গে আটক তিন মানব পাচারকারীর বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইনে মামলার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান বলেন, মানব পাচার রোধে বিজিবি দৃঢ় অবস্থানে রয়েছে। সীমান্ত নিরাপত্তা ও দেশের মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই আমাদের অঙ্গীকার।