বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২৬ অপরাহ্ন
ভিশন বাংলা ডেস্ক: রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমিরপুতিন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ‘পশ্চিমারা সিরিয়ায় আবার হামলা চালালে বিশ্বজুড়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি হবে।’ এমন এক সময় পুতিন এ হুঁশিয়ারি দিলেন, যখন মস্কোকে আরো চাপে ফেলার জন্য নতুন অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তুতি নিচ্ছে ওয়াশিংটন।
এদিকে রাসায়নিক অস্ত্রের ওপর নজরদারি আন্তর্জাতিক সংস্থা অর্গানাইজেশন ফর দ্য প্রহিবিশন অব কেমিক্যাল উইপন (ওপিসিডাব্লিউ) দৌমায় সিরিয়া সরকারের হামলার বিষয়টি নিয়ে গতকাল সোমবার নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগে এক জরুরি বৈঠকে মিলিত হয়। গতকাল এই বৈঠক শুরুর আগেই তাদের একটি বিষেশজ্ঞ দল সিরিয়া প্রশাসনের আহ্বানে রাসায়নিক হামলার অভিযোগ তদন্তের জন্য দামেস্কে পৌঁছায়।
গত ৭ এপ্রিল পূর্ব গৌতার দৌমায় সিরিয়া সরকার রাসায়নিক হামলা চালায় বলে অভিযোগ ওঠার পর গত শনিবার সিরিয়ার রাসায়নিক স্থাপনাগুলোতে ১০৫টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির সঙ্গে গত রবিবার টেলিফোনে আলাপকালে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘জাতিসংঘের সনদ লঙ্ঘন অব্যাহত রেখে এ ধরনের হামলা আবার চালানো হলে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে নৈরাজ্য দেখা দেবে।’ ক্রেমলিন এক বিবৃতিতে জানায়, দুই নেতাই একমত হন যে সিরিয়ায় সাত বছর ধরে চলমান গৃহযুদ্ধের একটি রাজনৈতিক সমাধানের সম্ভাবনা এই হামলার মাধ্যমে অনেকটা সংকুচিত হয়ে এসেছে।
এদিকে জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালে সিবিএস চ্যানেলের ‘ফেস দ্য নেশন’ অনুষ্ঠানে জানিয়েছেন, সিরিয়ার প্রশাসনকে সরঞ্জাম সরবরাহ করে, এমন রুশ প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র।’ এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে রুশ পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষের প্রতিরক্ষা কমিটির উপপ্রধান ইভজেনি সেরেব্রেনিকভ বলেন, ‘এই নিষেধাজ্ঞা আমাদের সংকটে ফেলবে, তবে তার চেয়েও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ।’
অন্যদিকে সিরিয়ার আবার রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার নিয়ে আলোচনায় গতকাল রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসে ওপিসিডাব্লিউ। এর আগের দিন দৌমায় ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষণে তাদের একটি দল সিরিয়ায় পৌঁছে। ওই দিন থেকেই তাদের কাজ শুরুর কথা থাকলেও তারা দৌমায় যায়নি। রাজধানী দামেস্কে সিরিয়ার কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে তারা। সিরিয়া ও তাদের মিত্র রাশিয়া শুরু থেকেই জানিয়েছে, দৌমায় রাসায়নিক অস্ত্রের প্রয়োগ করা হয়নি। সিরিয়া প্রশাসন এও জানিয়েছে যে ওপিসিডাব্লিউয়ের প্রতিনিধি দলকে পূর্ণ সহযোগিতা করা হবে। এই দলের কাজে নাক গলানো হবে না বলে আশ্বস্ত করেছে মস্কোও। স্থানীয় গণমাধ্যমের দেওয়া তথ্য মতে, দৌমার ওই হামলায় ৪০ জন নিহত হয়। সূত্র : এএফপি, রয়টার্স।