স্টাফ রিপোর্টার: ননএমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নীতিমালার ভিত্তিতে এমপিওভুক্তির কার্যক্রম দ্রুত গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
উন্নয়নের কারণে বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ নতুন বিস্ময় বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
বুধবার বিকালে জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরপর্বে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর শিক্ষার গুণগতমান উন্নয়নের লক্ষ্যে সারাদেশে ১,৬২৪টি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। অবশিষ্ট ননএমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সুনির্দিষ্ট নীতিমালার ভিত্তিতে এমপিওভুক্ত করার জন্য ইতোমধ্যে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো এবং এমপিও নীতিমালা ২০১৮ জারি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এই নীতিমালা অনুসরণ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির (মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার) বিষয়ে দ্রুত কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। এ লক্ষ্যে অনলাইন অ্যাপলিকেশন গ্রহণ এবং ব্যবস্থাপনা ও বিধি মতে প্রতিষ্ঠান বাছাইয়ের জন্য পৃথক দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষকতার প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
এর আগে মঙ্গলবার প্রশ্নোত্তরে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এমপিওভুক্তির বিষয়ে বলেন, এমপিওভুক্তি একটি খারাপ কার্যক্রম। শিক্ষার উন্নয়নের জন্য এটা কোনও ভালো কার্যক্রম নয়।
প্রসঙ্গত, নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের ব্যানারে গত ১০ জুন থেকে তারা ধারাবাহিকভাবে নানা কর্মসূচি পালন শেষে ২৫ জুন সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের বিপরীত দিকে সড়কের পাশে আমরণ অনশন শুরু করেন।
এর আগে, এমপিওভুক্তির দাবিতে গত ৩১ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত অনশন করেন স্বীকৃতিপ্রাপ্ত নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা। পরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তার আশ্বাসে ৫ জানুয়ারি অনশন ভাঙেন তারা। কিন্তু ৭ জুন সংসদে উত্থাপিত বাজেটে এই খাতে কোনো অর্থ বরাদ্দ না দেখে তারা ফের ১০ জুন আন্দোলনে নামেন।
দেশে বর্তমানে প্রায় ৮ হাজার নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে। এর মধ্যে ৫ হাজার ২৪২টি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার সরকারি স্বীকৃতি আছে।