শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৫৭ অপরাহ্ন

২০০১ সাল থেকেই প্রধানমন্ত্রী পূর্ণিমা শীলদের সহযোগিতা করছেন

২০০১ সাল থেকেই প্রধানমন্ত্রী পূর্ণিমা শীলদের সহযোগিতা করছেন

আমার সরকারি চাকরি হয়েছে, এখন মাথার বোঝা যেন হালকা হয়েছে। আর চাকরি ব্যবস্থা করেছেন মাননীয় প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম দিদি। আর জয়দেব নন্দী দাদার সহযোগিতায় চাকরিটি পেলাম। উনাদের কাছে আমি আর আমার পরিবার সারাজীবন জীবন কৃতজ্ঞ থাকবো। আর বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানাই প্রধানমন্ত্রী মামুনিকে। সেই ২০০১ সালের সেই ভয়ঙ্কর ঘটনার পর আমাকে ছায়ার মতো আগলে রেখেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মামুনি। নানাভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছিলেন। তথ্য মন্ত্রণালয়েরর চাকরি পাওয়ার পর বুধবার এভাবেই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন পূর্নিমা শীল।

বৃহস্পতিবার থেকে প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা পদে চাকরিতে যোগ দিবেন পূর্ণিমা শীল। চাকরি পাওয়ার পর আপ্লুত পূর্ণিমা বলেন, আমার মা চেয়েছিলেন যেন একটি সরকারি চাকরি করি। সেই মায়ের স্বপ্ন পূরণ হলো আজ। এই চাকরির কথা শুনে মা অনেক খুশি হবেন। মামুনি (প্রধানমন্ত্রী) তারানা দিদি ও জয়দেব দাদাসহ দেশবাসীর কাছে আর্শিবাদ চাই। যেন আমাকে দেওয়া দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করতে পারি।

চাকরি পাওয়ার খবরটি আপনার মা কি পেয়েছেন?

জবাবে পূর্ণিমা শীল বলেন, চাকরির নিয়োগপত্র পেয়েছি, আগামীকাল বৃহস্পতিবার জয়েন করবো কিন্তু এখন বাসায় যাওয়া হয়নি। মাকে আমি নিজে বলতে পারিনি। কিন্তু ছোট ভাই মাকে বলেছে। চাকরির খবর পেয়ে মা খুশিতে নাকি কান্না করেছে।

প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমের সঙ্গে কিভাবে যোগাযোগ হয়েছে?

জবাবে পূর্ণিমা শীল বলেন, তারানা হালিম দিদির সঙ্গে অনেক আগে থেকেই অল্প অল্প যোগাযোগ ছিল। পরে উনার সহকারী একান্ত সচিব জয়দেব নন্দী দাদার মাধ্যমে সম্প্রতি আমার তারানা দিদির সঙ্গে কথা হয়। আমার সম্পর্কে তিনি বিস্তারিত জানেন। আজ বুধবার জয়দেব দাদা ফোনে আমাকে বলেন, আমার স্যার (প্রতিমন্ত্রী) তোমার সঙ্গে কথা বলতে চায়, তুমি আজই মন্ত্রণালয়ে এসে দেখা করো। পরে সেখানে যাওয়ার পর আমাকে নিয়োগপত্রটি দেন তারানা হালিম দিদি। প্রধানমন্ত্রী মামুনি আর তারানা দিদির প্রতি অনেক অনেক কৃতজ্ঞ।

উল্লেখ্য, পনেরো বছর বয়সে দশম শ্রেণির ছাত্রী পূর্ণিমা শীল গণধর্ষণের শিকার হয়ে অনেকটা বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছিল। সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় দেলুয়া গ্রামের অনিল কুমার শীলের পরিবারের ওপর ২০০১ সালের নির্বাচন পরবর্তী অক্টোবর মাসের ৮ তারিখ রাতে চালানো হয় বর্বরতম অত্যাচার-নির্যাতন-নিপীড়ন।

বিএনপি-জামায়াতের ক্যাডার বাহিনীর লোকজন সেই রাতে জোরপূর্বক বাড়িতে ঢুকে সন্ত্রাসীরা অনিল শীলের ছোট মেয়ে পূর্ণিমা শীলকে নিয়ে বিবস্ত্র করে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ওই ঘটনার ৩/৪ দিন পর ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি ধর্ষিত ছাত্রী ও তার পরিবারকে সাংবাদিদের সামনে হাজির করলে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়েছিল।

 

-সম্পাদক

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com