সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৩ পূর্বাহ্ন
মংলা প্রতিনিধি: মংলায় বিয়ের প্রলোভোনে এক ইপিজেড গার্মেন্টস কর্মীকে ধর্ষনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়াও বিয়ে করবে বলে ওই কিশোরীর কাছ থেকে প্রায় এক লক্ষ টাকাও হাতিয়ে নিয়েছে ধর্ষক ইজিবাইক চালক মিলন। উপজেলার চাদঁপাই ইউনিয়নের মালগাজী এলাকার ফায়ার সার্ভিসের সামনে এ ধর্ষনের এঘটনা ঘটে। তবে এ ধর্ষনের ঘটনা মোবাইলে ভিডিও করে প্রতারনা করার অপরাধে লিটন নামের অন্য এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। এব্যাপারে থানায় ধর্ষন মামলা হয়েছে।
থানার মামলা সুত্রে ও পুলিশ জানায়, পৌর শহরের কুমারখালী নতুন রকেটঘাট এলাকার বাসিন্দা তছলিম আকনের কিশোরী কন্যা (১৬) মংলা ইপিজেড এর একটি গার্মেন্টস কারখানায় চাকরী করে। ইপিজেড কারখানায় যাওয়ার সুবাদে মোঃ মিলন ও তার বন্ধু মোঃ লিটন খান’র সাথে পরিচয় হয়। প্রায় এক বছর আগে মিলনের সাথে কিশোরীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায় মিলন তাকে বিয়ে করবে বলে প্রলোভোন দিয়ে গত ২১ আগাষ্ট রাত সাড়ে ৯টার দিকে তার বাসায় নিয়ে ঘরের একটি কক্ষে আটকে রাখে এবং জোরপুর্বক ধর্ষন করে। মিলনের বন্ধু লিটন কৌশলে উক্ত ধর্ষনের দৃশ্য মোবাইল ফোনে ভিডিও করে রাখে। কিছুদিন পর লিটন এ মোবাইল ভিডিও কিশোরীকে দেখিয়ে সেও ধর্ষন করার চেষ্টা করে বলে অভিযোগে উল্লেখ করে। এতে কিশোরী ডাক চিৎকার করলে মোবাইল ভিডিও তাকে দেখিয়ে মারপিট করে এবং এ ঘটনার বিষয়ে কোথাও প্রকাশ করলে এবং বন্ধু লিটনের কথা না শুনলে উক্ত ভিডিও করা দৃশ্য নেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুকমি দেয়। ঘটনাটি কিশোরীর মা-বাবাকে জানালে তারা থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করে এবং ওই কিশোরী নিজে বাদী হয়ে মালগাজী গ্রামের মংলা ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশনের সামনে রুহুল আমিনের ছেলে মোঃ মিলন (২৫) ও একই এলাকার দেলোয়ার হোসেন খান’র ছেলে মোঃ লিটন (৩০) কে আসামী করে মংলা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সং/০৩) এর ৯, (১)/৩৩০ সহ পন্নোগ্রাফী নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২ এর ৮(২) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলার সুত্রধরে মোঃ লিটন খাঁনকে পুলিশ আটক করে গতকাল দুপুরে আদালতের মাধ্যমে, জেল হাজতে পাঠানো হয় বলে জানায় তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই মোঃ গোলাম মোস্তফা। থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, শহরের কুমারখালী এলাকার এক গার্মেন্টস কর্মীকে ধর্ষনের ঘটনায় ২ জনের নামে মামলা হয়েছে। লিটনকে আটক করা হয়েছে এবং মূল আসামী মিলনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।